পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য সমালোচনা’, সাধনা, ১২৯৮ ফাল্গুন ; ‘কড়ায়-কড়া কাহনকানা, সাধনা, ১২৯৯ পৌষ ; চন্দ্রনাথবাবুর স্বরচিত লয়তত্ত্ব, সাধনা, ১২৯৯ আষাঢ় ; ‘সাময়িক সাহিত্য সমালোচনা’, সাধনা, ১২৯৯ ভাত্র আশ্বিন —ইত্যাদি )— এই-সকল বিতর্ক সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলেন : ‘চন্দ্রনাথ বাৰুর উদারতা ও অমায়িক স্বভাবের আমি এত পরিচয় পাইয়াছি যে, নিতান্ত কর্তব্য জ্ঞান না করিলে, ও তাহাকে বর্তমান কালের একটি বৃহৎ সম্প্রদায়ের মুখপাত্র বলিয়া না জানিলে তাহার কোনো প্রবন্ধের কঠিন সমালোচনা করিতে আমার প্রবৃত্তিমাত্র হইত না। চন্দ্রনাথ বাবুকে বন্ধুভাবে পাওয়া আমার পক্ষে গৌরব ও একান্ত আনন্দের বিষয় জানিয়াও আমি লেখকের কর্তব্য পালন করিয়াছি।’ এই-সকল বাদবিতণ্ডা সত্ত্বেও, চন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে যে একটি গভীর বন্ধন শেষ পর্যন্ত অক্ষুন্ন ছিল, রবীন্দ্রনাথকে লিখিত চন্দ্রনাথ বসুর চিঠিপত্র • • হইতে তাহা জানিতে পারা যায়। পত্র ১২৮, ১২৯ ৷ ‘ রেণু গ্রন্থের . লেখিকা’, ‘রেণু-রচয়িত্রী’– প্রিয়ম্বদ দেবী ( ১৮৭১-১৯৩৫ )। "রেণু কাব্যগ্রন্থ ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয় । ১৩৩৫ কাতিক-সংখ্যা প্রবাসীতে প্রকাশিত 'লেখন প্রবন্ধে (চতুর্দশখণ্ড রবীন্দ্ররচনাবলী, পৃ ৫২৭-৩২ ) রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গক্রমে ‘প্রিয়ম্বদার বিরলভূষণ বাহুল্যবর্জিত কবিতার সাধুবাদ দিয়াছেন। প্রিয়ম্বদা দেবীর সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় প্রিয়ম্বদা দেবীর কবিতা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ষে মন্তব্য করিয়াছেন তাহা এ স্থলে উদ্ধত হইল— ‘প্রিয়ম্বদার কবিতার প্রধান বিশেষত্ব রচনার সহজ ধারায়, অলঙ্কার শাস্ত্রে যাকে বলে প্রসাদগুণ স্বচ্ছ তার ভাষা, সরল তার ভাবের সংবেদন । সে যেন ফুলের মতে, বাইরে থেকে যার পাপড়িতে রং ফলানো হয় নি, আপন রং যে নিজের অগোচরেই সঙ্গে নিয়ে এসেছে । , \О У о