পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর, সেই ফুলটি যুখী মালতী জাতের, পেলব তার চিকুণতা, সে চোখ ভোলায় না প্ৰগলভ প্রসাধনে, মনের মধ্যে প্রবেশ করে অদৃশু সুগন্ধের প্রেরণায় । প্রিয়ম্বদার অধিকার ছিল যে সংস্কৃত বিদ্যায়, সেই বিদ্যা আপন আভিজাত্য ঘোষণাচ্ছলে বাংলা ভাষার মর্যাদা কোথাও অতিক্রম করে নি ; তাকে একটি উজ্জল শুচিতা দিয়েছে, তার সঙ্গে মিলে গিয়েছে অনায়াসে গঙ্গা যেমন বাংলার বক্ষে এসে মিলেছে ব্ৰহ্মপুত্রের সঙ্গে। বিশ্বপ্রকৃতির সংস্রবে প্রিয়ম্বদার স্পর্শসচেতন মন যে আনন্দ পেয়েছিল কাব্যে সে প্রতিফলিত হয়েছে জলের উপরে যেন আলোর বিচ্ছুরণ, আর জীবনে যত সে পেয়েছে দুঃসহ বিচ্ছেদ বেদনা কাব্যে তার একান্ত আবেগ দেখা দিয়েছে নারীর আবারণীয় অশ্রধারার মতো । ‘বাংলা সাহিত্যে প্রিয়ম্বদণর কবিতা স্বকীয় আসন রক্ষা করতে পারবে, কেননা সে অকৃত্রিম ।’ —রবীন্দ্রনাথ, ভূমিকা : চম্পা ও পাটল রেণু সম্বন্ধে প্রিয়নাথ সেনের মন্তব্য রবীন্দ্রনাথকে লিখিত র্তাহার ১৬-সংখ্যক পত্রে ( পৃ ২৭০-৭২ ) ব্যক্ত হইয়াছে। , পত্র ১৩০ । জগদীশ বস্ব । আলোচ্য বিষয় এবং রবীন্দ্র-জগদীশ-প্রসঙ্গ “চিঠিপত্র’ ষষ্ঠ খণ্ডে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হইয়াছে। পত্র ১৩১ ৷ ‘আলো ও ছায়া’ ( ১৮৮৯ ), পৌরাণিকী ( ১৮৯৭ ) — কামিনী রায়ের ( ১৮৬৪-১৯৩৩ ) কবিতা সম্বন্ধে ১৮৯৩ সালে একখানি পত্রে রবীন্দ্রনাথ যে মন্তব্য করেন ছিন্নপত্রাবলীর ৮০-সংখ্যক পত্রে তাহা মুদ্রিত আছে। কামিনী রায়ের ‘আলো ও ছায়া সম্বন্ধে প্রিয়নাথ সেনের মন্তব্য রবীন্দ্রনাথকে লিখিত র্তাহার ১৬ ও ১৭ -সংখ্যক পত্রে বিবৃত । পত্র ১৩৯ ৷ এই পত্রে উল্লিখিত ‘প্রবাসী কবিতা ( সব ঠাই মোর ঘর আছে’ ইত্যাদি ) প্রবাসী পত্রের প্রথম সংখ্যায় ( বৈশাখ ১৩০৮ ) V) SS