পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোভনীয় কথা আমি বলতে চাই নে— কিন্তু স্থানটি যে লোভনীয় ঠেকবে সে সম্বন্ধে আমি আমার সমস্ত খাতাপত্র ও গ্রন্থাবলীসুদ্ধ জামিন থাকতে প্রস্তুত আছি। தர் চঞ্চলের রাজার অপেক্ষায় না থেকে আর এক পক্ষের নিকট হতে তুমি ৭॥০ পার্সেণ্টে টাকা তোলার যে প্রস্তাব করেছ সেটা আমার কাছে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ঠেক্‌চে— কারণ, “যো ধ্রুবাণি পরিত্যজ্য” ইত্যাদি শাস্ত্রে অাছে এবং ষবনেরাও বলে “তুটো পাখী ঝোপে থাকার চেয়ে একটা পাখী হাতে থাকা ভাল”— বিশেষতঃ আমরা আমাদের কুষ্টিয়ার সমস্ত জঞ্জাল যথাসম্ভব সত্বর চুকিয়ে ফেলে নিশ্চিন্ত নিরুপদ্রব হতে চাই । সুরেন কলকাতায় গেছে-— তাকে তোমার সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করে এ সম্বন্ধে আলাপ পরিচয় করতে বলব । মানসী সমালোচনার কথাটা মনে পড়ল। প্রদীপের কোন হিতৈষী সেটা প্রদীপের জন্য সংগ্রহ করবার উদ্যোগে ছিলেন । অামাকে যদি না জানিয়ে ওটা ছাপিয়ে ফেলতেন তা হলে বিপদেই পড়তেন । তুমি যখন আসবে এখানকার নদীর কূলগ্রাসিনী চণ্ডীমূৰ্ত্তি দেখতে পাবে। এবারে জল অত্যন্ত বেড়েছে— তীরের সঙ্গে এরই মধ্যে প্রায় সমান হয়ে এসেছে । দুই দিকের উপকূল স্রোতের বেগ আর সামলাতে পারচে না— মুহূৰ্ত্তে মুহূৰ্ত্তে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়চে । ইতি [ ২১ ] শে আষাঢ় ১৩০৬ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর