পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনো রিপোর্টার উপস্থিত ছিল না তবে আমি খবর পেলুম কোথা থেকে, তবে তার উত্তর হচ্চে এই যে, আইনকৰ্ত্তারা তাদের মন্ত্রণা সভায় কি আইন পাস করেচেন তা তাদের পেয়াদার গুতো খেলেই সব চেয়ে পরিষ্কার বোঝা যায়। যে মুহূৰ্ত্তে হাওড়া ষ্টেশনে আমার রেলের এঞ্জিন বাঁশি বাজালে, সে বাঁশির আওয়াজে কত তেজ, কত দপ। আর রবীন্দ্রনাথ ওরফে ভানুদাদা নামক যে ব্যক্তি তোরঙ্গ বাক্স ব্যাগ বিছানা গাড়িতে বোঝাই করে তার তক্তর উপরে দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত হয়ে ইলেকট্রিক পাখার চলচক্রগুঞ্জনমুখর রথকক্ষে একাধিপত্য বিস্তার করলেন তারই বা কত আশ্বস্ততা। তার পরে কত গড়গড়, থড়থড়, ঝরঝর, ভো ভো, ঢং ঢং, স্টেশনে স্টেশনে কত হাক ডাক, হাস ফাস, হন হন, হট হটু— আমাদের গাড়ীর দক্ষিণে বামে কত মাঠ বাট বনজঙ্গল নদীনালা গ্রাম সহর মন্দির মসজিদ কুটার ইমারত যেন বাঘে তাড়া করা গোরুর পালের মত উদ্ধশ্বাসে আমাদের বিপরীত দিকে ছুটে পালাতে লাগল। এমনি ভাবে চলতে চলতে যখন পিঠাপুরমে পৌঁছতে মাঝে কেবল একটা স্টেশনমাত্র আছে এমন সময় এঞ্জিনটার উপরে নক্ষত্রসভার অদৃশ্য পেয়াদা তার অদৃশ্য পরোয়ানা হাতে নিয়ে নেবে পড়ল আর অমনি কোথায় গেল তার চাকার ঘুরনি, তার বাঁশির ডাক, তার ধূমোদগার, তার পাথুরে কয়লার ভোজ ! পাঁচ মিনিট যায়, দশ মিনিট যায়, বিশ মিনিট যায়, এক ঘণ্টা যায়, স্টেশন থেকে গাড়ি আর নড়েই না। সাড়ে পাঁচটায় পিঠাপুরমে পৌছবার কথা কিন্তু সাড়ে ছটা, সাড়ে সাতটা বাজে তবু এমনি সমস্ত স্থির হয়ে রইল যে, “চরাচর মিদং ং" যে চঞ্চল এ কথাটা মিথ্যা বলে বোধ হল। এমন সময় হাঁপাতে হাঁপাতে ধক ধক ধুক ধুক্‌ করতে করতে আর একটা এঞ্জিন এসে হাজির, গিয়ে উঠলুম তখন আমার মনের অবস্থাটা দেখি ঠিক সেই এঞ্জিনেরই মত। মনকে জিজ্ঞাসা করলুম, “কেমন হে মাদ্রাজে যাচ্চ ত? সেখান సె(t