পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woly ৫ নভেম্বর ১৯ ১৮ শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু তোমার চিঠির উপরেই তুমি লিখেচ “আপনি কি করচেন ?” আগে তার উত্তরটা লিখে দিই তার পরে অন্য কথা। সকাল বেলা থেকেই একটু একটু মেঘ করে আছে রোদুর এক একবার ফুটে উঠচে আবার মিলিয়ে যাচ্চে— ঠিক যেন রোদুর দেওয়ালির রাত্রে যাত্রা শুনতে গিয়েছিল, তাই আজও সকাল বেলাতেও ঘুম পাচ্চে, এক একবার চোখ ঢুলে আসচে আবার চমকে উঠে ভান করচে যেন একটুও তার ঘুম পায় নি। আমার আকাশের ভানুদাদার ত এই অবস্থা। কিন্তু তোমার ভানুদাদা খুব সজাগ আছে। সে ব্যক্তি তার সেই কোণের ডেস্কে বসে খাতা খুলে তার বাংলা কবিতার নতুন ইংরেজি তর্জমাগুলি নিয়ে খুব কষে মাজা ঘষা করচে। হঠাৎ এত ব্যস্ততার কারণ হচ্চে এই যে, এই ইংরেজি তর্জমাই আমার পশ্চিম সমুদ্রতীরে তীর্থযাত্রার পাথেয়। বাংলা কবিতার জোরেই– তোমাদের দরজায় গিয়ে দরজা খোলা পেয়েছি— ভানুদাদার দর্শনের জন্যে ছুটে এসেছে আমার বাঙালী রাণু এবং তার সব সভাসদ— আবার ঐ কবিতাগুলিকেই ইংরেজি করে নিয়ে রাজবাড়ির পশ্চিম মহলের সিংহ-দ্বারও পার হতে পেরেছি। যুদ্ধ থেমে গিয়েচে, পথ খোলসা হয়েচে, আনাগোনার সময় আবার কাছে আসতে চলল, কাজেই আবার থলি ঝেড়ে দেখচি আমার তহবিলে কি আছে। হিসাব করে দেখা গেল যা আছে তাতে আমার বেশ চলবে। একথা ত তোমার জানা আছে পূৰ্ব্ব দিগন্ত থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত ভানুর যাত্রাপথ— সেই প্রদক্ষিণ শেষ করতে না পারলে ত তার বিদায় মঞ্জুর হবে না— সেই హిసా"