পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাজা খাওয়া প্রায় শেষ হয়েচে এমন সময়ে ডাকহরকরা আমার হাতে কাশির ছাপমারা একখানা চিঠি দিয়ে গেল ভানুদাদা 86. ১০ ডিসেম্বর ১৯১৮ હૈં { শাস্তিনিকেতন | কল্যাণীয়াসু রাণু, দেরি করে তোমার চিঠির উত্তর দিয়েছি, তুমি আমাকে এত বড় অপবাদ দেবে আর আমি তাই যে নীরবে সহ্য করে যাব এত বড় কাপুরুষ আমাকে পাও নি। কখখনো দেরী করি নি, এ আমি তোমার মুখের সামনে বলছি, এতে তুমি রাগই কর আর যাই কর। দেরি করিনি, দেরি করি নি, দেরি করি নি— এই তিন বার খুব চেচিয়েই বলে রাখলুম— দেখি তুমি এর কি জবাব দাও যত দোষ সব আমার, আর তোমার অগস্ত্যকুণ্ডের পোষ্টমাষ্টারটি বুঝি ৩৮টি গুণের আধার। ভাল কথা মনে পড়ল, তোমাকে শেষ বারে চিঠি লেখার পর আমি খোজ নিয়ে শুনলুম শ্ৰীমতী তুলসীমঞ্জরীকে বৌমা বিদায় করে দিয়েচেন। কি অন্যায় দেখ দেখি ! তার অপরাধটা কি ? না, সে যতটা কাজ করে তার চেয়ে কথা কয় ঢের বেশী। তাই যদি হয়, তা হলে তোমার ভানুদাদার কি গতি হবে বল ত রাণু। আমি ত জন্মকাল থেকে কেবল কথাই কয়ে আসচি,— তুলসীমঞ্জরী যেটুকু কাজ করেচে আমি তাও করি নি। বৌমা তাই রেগে মেগে হঠাৎ যদি আমার খোরাকি বন্ধ করে দেন তাহলে আমার কি দশা > > R