পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুণগান করা হয় সেই ভয়ে আমি একেবারে নীরব হয়ে গেলুম। ইতি শিবরাত্রি ১৩২৫ তোমার শুভানুধ্যায়ী ভানুদাদা 8冷 ২৫ মার্চ ১৯১৯ હૈં [ শাস্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়াসু, রাণু, কাশী ত যাবই তা কপালে যা’ই থাক। কিন্তু তোমার চিঠি পড়ে বোঝা গেল দেবতাদের সঙ্গে আমার কিছুতেই বনিবনা হবে না— বাবা বিশ্বেশ্বর কি করবেন এখনও তার সংবাদ পাওয়া যায় নি— কিন্তু তোমার আকাশের ভানুদাদা তোমার মৰ্ত্তোর ভানুদাদার প্রতি খুব উষ্মা প্রকাশ করবার জন্যে প্রস্তুত হয়ে আছেন সে খবর তোমার চিঠি থেকেই পাওয়া গেল। তা হোক তিনি যতই গরম হেন না কেন, আমি উত্তেজিত হব না। তিনি যতই আমার সঙ্গে সংগ্রামে প্রবৃত্ত হবেন, আমি ঠাণ্ডা হয়ে বসে হাত-পাখা সঞ্চালনের দ্বারা শান্তি রক্ষার চেষ্টা করতে থাকব। হাতপাখার অধীশ্বরী শান্তি দেবীর প্রসন্নতা থেকে বঞ্চিত হবার কোনো আশঙ্কা নেই। কিন্তু পয়লা এপ্রিলের একজামিনেশন! তাকে ঠেকায় কে ? প্রচণ্ড মাৰ্ত্তণ্ডের চেয়ে তার প্রতাপ বেশি। রাণুর অধিকার সম্বন্ধে তার সঙ্গে আর রাণুর মৰ্ত্তা-ভানুদাদার সঙ্গে যখন বিরোধ বাধবে তখন আমাকে মাথা হেট করে হার মানতেই হবে। অবশ্য, চেষ্টা করব সন্ধি করবার জন্যে— দেখব একটা রফা নিম্পত্তি করে তার সঙ্গে ভাগ-বখরা চলে কি না। সৰ্ব্বনাশে >この