পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ কলকাতা} মাঝে তোমার একটা চিঠির জবাব দিতে পারি নি। কলকাতায় এসেচি। কেন এসেচি হয় ত খবরের কাগজ থেকে ইতিমধ্যে কতকটা জানতে পারবে। তবু একটু খোলসা করে বলি। তোমার লেফাফায় তুমি যখন আমার ঠিকানা লেখ– তখন বরাবরই আমার সার-পদবী বাদ দিয়ে লেখ। আমি ভাবলুম ঐ পদবীটি তোমার পছন্দ নয়। তাই কলকাতায় এসে বড় লাটকে চিঠি লিখেচি যে আমার ঐ ছার পদবীটিা ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু চিঠিতে আসল কারণটা দিই নি— তোমার নামের একটুও উল্লেখ করি নি – বানিয়ে বানিয়ে অনা নানা কথা লিখেচি। আমি বলেচি বুকের মধ্যে অনেক বাথা জমে উঠেছিল, তারই ভার আমার পক্ষে অসহ্য হয়ে উঠেচে– সেই ভারের উপরে আমার ঐ উপাধির ভার আর বহন করতে রছি নে, তাই ওটা মাথার উপর থেকে নামিয়ে দেবার চেষ্টা করচি। যাক এ সব কথা আর বলতে ইচ্ছা করে না— অথচ অন্য কথাও ভাবতে পারি নে। এত লোকে এত অন্যায় দুঃখ পাচ্চে যে, দূরে বসে বসে আরামে থাকতে লজ্জা হয়- তাদের দুঃখের অংশ যদি আমি নিতে পারি তাহলেও তাদের দুঃখ অনেকটা লাঘব হয়। ঐ দেখ, আবার ফের, ঘুরে ফিরে সেই একই কথা । আমাদের ইস্কুল থেকে শান্তিনিকেতন’ বলে একটি মাসিক পত্র বের হয়। প্রবাসী তারই থেকে কিছু কিছু লেখা তুলে দিয়েচে— তোমাকে আমি সেই কাগজের গ্রাহক করে দেব। আমাদের শান্তিনিকেতনের ছাত্র ছাড়া আর কাউকে ঐ কাগজ দেওয়া হয় না। কিন্তু তুমি ত প্রায় একমাস ১ ২৯ > ア l 。