পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাছাড়া যে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েচি বিদায় নেবার পূৰ্ব্বে তাকে একবার সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করে আসা উচিত। নইলে ক'দিনই বা এখানে থাকা আর কতটুকুই বা দেখা। ইতি ২৬ আষাঢ় ১৩২৬ ভানুদাদা © $ { ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯১৯} শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু কয়দিন তোমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলুম। আজ তোমার বাবজার স্বহস্তের চিঠি পেয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। আমি আমার সেই পুরাতন কোণটিতে এসে ঢুকেচি। মীরা পিসি নেই, বৌমা নেই, কমলও নেই, থাকবার মধ্যে আছে সাধুচরণ। জ্ঞান ত তার ব্যবহার। তুমি না থাকাতে তার দিবানিদ্রার মেয়াদ আরো অনেক বেড়ে গেছে। এখন আমার উপায় কি বল দেখি। এখানে মাঠের মধ্যে কেবলমাত্র ঐ এক সাধুসঙ্গে আমার দিন কাটবে কি করে ? তাই ঠিক করেচি বিবাগী হয়ে একেবারে শিলং পাহাড়ে চলে যাব— সেখানে চাটগা বিভাগের কমিশনার সাহেবেরং বাগানবাড়িতে তপসাধন করব— অর্থাৎ, যদি শীত করে তবে আগুন ছেলে তারি পাশে শুদ্ধ হয়ে বসে থাকব, আর যদি ক্ষুধা পায় তবে রুটি মাখন বিস্কুট ভাত ডাল তরিতরকারী ফল ফুলুরি রসগোল্লা সন্দেশ জিলিবি কেক প্রভৃতি ছাড়া আর কিছুই খাব না, আর পানীয় দ্রব্যের মধ্যে কেবল মাত্র জল দুধ চা কফি লেবুর সরবৎ আনারসের সরবৎ দইয়ের সরবৎ, এবং দু চার রকমের আইসক্রীম-মাত্ৰ— একরকম শুকিয়ে থাকা আর >©ፃ