পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাথা হেট করে সমত্ত দিন ধরে জবাব দিচ্চি। কেউবা আমাকে ইংরেজি কবিতা পাঠিয়েচে; আমাকে লিখতে হচ্চে, সে ইংরেজিও নয় কবিতাও নয় ; কেউবা খাদেশ থেকে আমার নিজের কবিতার মানে জিজ্ঞাসা করে পারি কিন্তু তার মানে বলতে পারি নে; কেউবা লিখেচে, সে বই ছাপাতে চায় আমাকে তার ভূমিকা লিখে দিতে হবে, আমাকে লিখতে হচ্চে, বই যে ব্যক্তি লিখেচে তার পাপের দায় তারই, আমি কেন তার ভূমিকা লিখে খামকা সেই পাপের ভাগ মাথায় করব; এমন আরো কত তার সংখ্যা নেই।— আশা বুঝি বলেচে আমি তোমাকে ভুলে গেচি ? আমি এ পর্যন্ত একটাও পাস করতে পারি নি কিনা, তার উপরে আবার কত নামতা ভুল করি সেও ত তুমি জান, তাই আশা ঠিক করে বসে আছে আমার স্মরণশক্তি কিছুই নেই,— আচ্ছা, মেনেই নেওয়া গেল আমার স্মরণ শক্তি নেই, কিন্তু তাই বলে বিস্মরণ শক্তিতে জগতে আমি অদ্বিতীয় এত বড় অহঙ্কারের কথাই বা কোন মুখে স্বীকার করব? আশা হয়ত ভাবচে, তোমার চিঠি হাতে করে আমি বসে বসে চিন্তা করচি “রাণু ? কে বল ত? Elizabeth the Great? না জাপানের রাণী কুসিকাওয়া? না চীনের মহারাণী চুংফুং ফা ?" কোনো কিনারা করতে না পেরে পরম পণ্ডিত হরিচরণের কাছে গিয়ে উপস্থিত। “ওহে হরিচরণ, রাণু কে আমাকে বলে দিতে পার?” তিনি বলচেন “জানেন না ? সেই যে রাণু পাগলী, খোলা চুল দুলিয়ে ছুটে ছুটে চলে?" হঁ হী, বটে বটে, একটু একটু আবছায়া আবছায়া মনে পড়চে— “সেই যে থাকে ডেরাইস্মাইল খায়ে, না ময়ূরভঞ্জে, না ভিজাগাপাটামে, না কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে— সেই যে— কি রকম দেখতে বল ত?” ইতি শুক্লাষষ্ঠী কাৰ্ত্তিক ১৩২৬ (১৩ আশ্বিন ১৩২৬) তোমার ভানুদাদা >\రిసి