পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৌকোয় গঙ্গা পার হতে হবে। মালপত্র ঘাড়ে নিয়ে ঘাটে গেলেম। সবে জোয়ার এসেচে– ডিঙ্গি নৌকো ঘাট থেকে একটু তফাতে, একটা মাল্লা এসে আমাকে আড়কোলা করে তুলে নিয়ে চলল। নৌকোর কাছাকাছি এসে আমাকে সুদ্ধ ঝপাস করে পড়ে গেল— আমার সেই ঝোলাকাপড় নিয়ে সেইখানে জলে কাদায় লুটোপুটি ব্যাপার। গঙ্গামৃত্তিকায় লিপ্ত এবং গঙ্গাজলে অভিষিক্ত হয়ে নিশীথরাত্রে বাড়ি এসে পৌছন গেল। গঙ্গাতীরে বাস তবু ইচ্ছা করে বহুকাল গঙ্গাস্নান করি নি— ভাষ্মজননী ভাগীরথী সেই রাত্রে তার শোধ তুললেন। আজ বিকেলের গাড়িতে শিলং পাহাড়ে যাত্রা করব। আশা করি এবারকার যাত্রাটা গতবারের গঙ্গাযাত্রার মত হবে না। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি সুরু হয়েচে– আর ঘন মেঘের আবরণে দিগঙ্গনার মুখ অবগুষ্ঠিত। আমাকে এবার যখন চিঠি লিখবে কলকাতার ঠিকানায় লিখো— আমি যেখানে থাকি পাঠিয়ে দেবে। তোমাকে আমার বিজয়ার আশীৰ্ব্বাদ পূৰ্ব্বেই পাঠিয়েচি”— আবার পাঠালুম। আশা শাস্তি ভক্তিকেও আমার আশীৰ্ব্বাদ জানিয়ে ৷ পূর্ণিমা আশ্বিন ১৩২৬ [২২ আশ্বিন ১৩২৬) তোমার ভানুদাদা ১২ অক্টোবৰ ১৯১৯ Brookside Shillong ASSarn. কল্যাণীয়াসু রাণু কাল এসে পোঁচেছি শিলঙ পৰ্ব্বতে। পথে কত যে বিঘ্ন ঘটল তার ঠিক নেই। মনে আছে বোলপুর থেকে আসবার সময় মা গঙ্গা আমাকে Ꮌ 8 Ꮍ