পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেছে। জিনিস রইল পড়ে, আমরা এগিয়ে চললুম। বিদেশে, বিশেষত শীতের দেশে, জিনিসে মানুষে বিচ্ছেদ সুখকর নয়। সইতে হল। যা হোক শিলঙ পাহাড়ে এসে দেখি পাহাড়টা ঠিক আছে; আমাদের গ্রহবৈগুণো বাকে নি, চোরে নি, নড়ে যায় নি, আমাদের জিওগ্রাফিতে তার যেখানে স্থান ঠিক সেই জায়গাটাতে সে স্থির দাড়িয়ে আছে। দেখে আশ্চর্য বোধ হল। এখনও পাহাড়টা ঠিক আছে, তাই তোমাকে চিঠি লিখচি কিন্তু আর বেশি লিখলে ডাক পাওয়া যাবেনা। অতএব ইতি কৃষ্ণা তৃতীয় ১৩২৬ [২৫ আশ্বিন ১৩২৬) তোমার ভানুদাদা ఆS) ? অক্টোবর ১৯১৯ Brcxokside Shillong কল্যাণীয়াসু আজ তোমার চিঠি পেলুম। বেশ একটু শীত পড়েচে— স্নানের ঘরে ঢোকবার সময় মনটা একটু পিছু হটবার চেষ্টা করবে— কিন্তু তাকে হটতে দেব না— ঝপাঝপ মাথায় জল ঢালবই আর কাপতে কঁপিতে তোয়ালে দিয়ে গা মুছবই এ আমি তোমাকে লিখে দিলুম। সাধুচরণ আমার শোবার ঘর ঝাড়াবুড়ি করচে তাকে আমি ডেকে মুক্তকণ্ঠে বলে দিয়েচি, “সাধু, শীঘ্র আমার নাবার জল ঠিক করে দে।" কথাটা যে কত বড় বীরত্বের তা তুমি কাশীতে বসে হাত পাখার বাতাস খেতে খেতে বুঝতেই পারবেনা। আমি যেদিন এখানে এসে পৌছলুম সেদিন থেকেই বৃষ্টি বাদলা কেটে X 88