পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাধা করে এই আসচি— সুতরাং চিঠির ওভাগে পূৰ্ব্বাহ্ন [য] ছিল, এভাগে অপরাহ্ন [য] পড়েছে— এখন ঘড়ির কাটা বেলা একটার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করচে। সেই মোটা মেঘগুলো সাদা-কালো রঙের কাবুলি বেড়ালের মত এখনো অলস ভাবে স্তব্ধ হয়ে রৌদ্রে পিঠ লাগিয়ে পড়ে আছে পাখী ডাক্‌চে আর জানলার ভিতর দিয়ে চামেলি ফুলের গন্ধ আসচে। ঐ মেঘগুলোর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে একটা লম্বা কেদারা আশ্রয় করে নিস্তব্ধ ভাবে জানলার কাছে যদি বসতে পারতুম তাহলে খুসি হতুম— কিন্তু অনেক চিঠি লিখতে বাকি আছে অতএব গিরিশিখরে এই শরতের অপরাহ্ন যি আমার চিঠি লিখেই কাটবে। তুমি ছবি আঁকচ কি না লিখো, আর সেই এস্রাজের উপর তোমার ছড়ি চলচে কি না তাও জানতে চাই। ইতি ২৮শে আশ্বিন ১৩২৬ (তারিখ ভুল করি নি— পজি দেখে লিখেছি) তোমার ভানুদাদা ぐ28 ২৩ অক্টোবর ১৯১৯ Brookside কল্যাণীয়াসু আজ কাৰ্ত্তিকী অমাবস্যা। আজ তোমার জন্মদিন। আশীৰ্ব্বাদ করি পুণ্য দীপোৎসবের দীপাবলীর মতই তোমার জীবনের দিনগুলি উজ্জ্বল হয়ে পবিত্র হয়ে দীপ্তি পাক। অন্ধকার বিনাশ করবার জন্যেই তোমার জীবন উৎসর্গ-করা হোক। আমাদের স্বার্থপরতার দিক, ভোগপরায়ণ প্রবৃত্তির দিক্, অহমিকার দিকই হচ্চে অন্ধকারের দিক, ঐ দিকেই পশুত্ব— ঐ >8や