পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্ররাজি চারিদিকে বিকীর্ণ হচ্চে– কিন্তু আমি নিরুত্তরবায়ুপ্রস্ত হয়ে বসে আছি আমার পত্র আর সহজে বিক্ষিপ্ত হতে চাইবে না। ধীমু অন্নপূর্ণার আরতি দেখে এখানে ফিরে এসেচে– তোমাদের হাতের আতিথ্য পেয়ে সে বিশ্বেশ্বরকে বলে অন্নপূর্ণার দ্বারেই পূজা সমর্পণ করে এসেচে। এখন সে কেবল তোমাদের গুণগান করচে— বুঝতে পরিচি ব্রাহ্মণকে মিষ্টান্ন বিতরণ করতে তোমাদের ক্রটি হয় নি— মুখোপাধ্যায়ের মুখ তাই মিষ্ট বাণীতে পূর্ণ। ভানুদাদা [কলকাতা] রাণু, আমি নদীপথে কয়েকদিন কাটিয়ে এলুম’— কাল রাত্রে ফিরে এসেচি— আজ সকালে দেখি এখানে তোমার চিঠি আমার জন্যে অপেক্ষা করছিল। তুমি জান আমি নদী ভালবাসি। কেন বলব ? আমরা যে-ডাঙার উপরে বাস করি সে ডাঙা ত নড়ে না, ভদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু নদীর জল দিনরাত্রি চলে; তার একটা বাণী আছে; তার ছন্দের সঙ্গে আমাদের রক্ত চলাচলের ছন্দ মেলে; আমাদের মনে নিরন্তর যে চিন্তাত্ৰোত বয়ে যাচ্ছে সেই স্রোতের সঙ্গে তার সাদৃশ্য আছে– এই জন্যে নদীর সঙ্গে আমার এত ভাব। বয়স যখন আরো কম ছিল, তখন কত কাল নৌকোয় কাটিয়েচি; কোনো জনমানব আমার কাছেও থাকত না, পদ্মার চরের እ> ማለ>