পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৩ [ফেব্রুয়ারি ১৯২২] { শাস্তিনিকেতন] রাণু শরীর জিনিষটা দাম দিয়ে কিনতে হয় নি বলে সেটা অনাদরের নয়। ম্যাট্রিকুলেশন পাস না করলেও চলে কিন্তু হৃৎপিণ্ডটা ঠিকমত চলাটা দেহযাত্রার পক্ষে অত্যাবশ্যক। আমি একটাও পাস করি নি কিন্তু হৃৎপিণ্ডটাকে পারৎপক্ষে কখনো রুদ্রতালে চলতে দিই নে, তাতে অনেক সুবিধা পাই। তোমাকে পরামর্শ দিই যে আহার যখন করতেই হবে তখন পরিপাকের জন্যে যে সময়টা দিতে হবে সেটাকে সময়ের অপব্যয় বলে মনে করলে ভুল হয়; সংসারে থাকতে গেলে মাথা যখন খাটাতেই হবে তখন মাথাটাকে বিশ্রাম করতে দিতে কৃপণতা করা মূলধন খোওয়াবার -পস্থা। দেহটা না হলে নয় অতএব দেহটা যে আছে এ কথা ভুলে যাওয়া একটা বিষম ভুল। আজ তুমি ছুটোছুটি করতে চাচ্চ আর তোমার দেহ জেদ ধরে বসে আছে যে সে দৌড়ে চলবে না। এটা আর কিছুই নয় ননকোঅপারেশন। তুমি অনেককাল তাকে অশ্রদ্ধা করেচ সে এখন তোমাকে বলচে আড়ি। দেহরাজ্য শাসনের পক্ষে এ অবস্থাটা ভাল নয়, এ হচ্চে Civil disobedience আমার নাটকটা হাতে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলুম। যারা শুনলেন তারা ভালই বললেন কিন্তু হিসেব করে দেখা গেল সময় এত অল্প যে এর মধ্যে স্টেজ বেঁধে সাজসজ্জা তৈরি করে অভিনয় হতে পারে না। অতএব আগামী বৎসরে কোনো এক সময়ে অভিনয়ের চেষ্টা করা যাবে, তাহলে তোমার পক্ষে অম্বা সাজা অসম্ভব হবে না। আমাকে সাজতে হবে বৈরাগী। তোমার ভানুদাদা እ» % Ç