পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি আমার কাছে বড় চিঠি চেয়েছিলে; বড় চিঠিই লিখলুম। লিখতে পারলুম তার কারণ এখানে অবকাশ আছে। কিন্তু এই চিঠি যখন ডাকে দেব, অর্থাৎ কাল বৃহস্পতিবারে— কলকাতায় রওনা হব। সেখানে ট্র্যাম আছে, মোটর আছে, ইলেকট্রিক পাখা আছে, বরফ আছে, সময় নেই। তার পরে বোলপুরে যাব,"— সেখানে শালের বনে ফুল ফুটেচে, আমবাগানে ফল ধরেচে, সেখানে মাঠ আছে বিস্তীর্ণ, আকাশ আছে অবরিত কিন্তু সেখানেও অবকাশ নেই। চিঠি জিনিষটি ছোট, মালতী ফুলের মত, কিন্তু সেই চিঠি যে অবকাশের মধ্যে ফুটে ওঠে সেই অবকাশ মালতী লতারই মত বড়। আমাদের মত কেজো লোকের অবকাশ টবের গাছ, তার থেকে যে সব পত্রোদগম হয় সে ত পোষ্ট্র কার্ডের চেয়ে বড় হতে চায় না। ইতি ২২ চৈত্র ১৩২৮ 覽 ভানুদাদা 公°C ১৪ এপ্রিল ১৯২২ শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু, আজ বর্ষারম্ভের দিন। তোমরা আমার নববর্ষের আশীবাদ গ্রহণ কর। তোমাদের জীবন পবিত্র হোক, চিত্ত নিৰ্ম্মল হোক, হৃদয় সুন্দর হোক— সংসারে তোমাদের সমস্ত সুখদুঃখ সমস্ত লাভক্ষতি কল্যাণে পরিণত হোক্— তোমাদের চিন্তা বাক্য ও আচরণ কলুষমুক্ত হয়ে ভূমাকে প্রকাশ করুক। আমি আবার শান্তিনিকেতনে এসেচি। পূর্ণ বেগে কাজ করবার মত জোর পাচ্চি নে— ক্লান্ত আছি। চেষ্টা করি বিশ্রাম করতে, কিন্তু ছিদ্ৰঘটকে >br>