পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না দিনু বাবুকেও তাই। আজ সকালেই সে পালাবে স্থির করেচে। ইতি ২৯ আষাঢ় ১৩২৯ ভানুদাদা У О О ১৮ জুলাই ১৯২২ শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু রাণু, আত্রাই নামক একটি নদীর উপর বোটে করে ভেসে চলেচি।’ বর্ষার মেঘ ঘন হয়ে আকাশ আচ্ছন্ন করেচে, একটু ঝোড়ো বাতাসের মত বইচে, পাল তুলে দিয়েচে। নদী কূলে কুলে পরিপূর্ণ, স্রোত খরতর, দলে দলে শৈবাল ভেসে আসচে। পল্লীর আঙিনার কাছ পৰ্য্যন্ত জল উঠেচে; ঘন বাঁশের ঝাড়; আম কঁঠাল তেঁতুল কুল শিমুল নিবিড় হয়ে উঠে গ্রামগুলিকে আচ্ছন্ন করে ফেলেচে ; মাঝে মাঝে নদীর তীরে তীরে কাচা ধানের ক্ষেতে জল উঠেছে, কচি ধানের মাথা জলের উপর জেগে আছে। দুই তটে স্তরে স্তরে সবুজ রঙের ঘনিম ফুলে ফুলে উঠেচে, তারি মাঝখান দিয়ে বর্ষার ঘোলা নদীটি তার গেরুয়া রঙের ধারা বহন করে ব্যস্ত হয়ে চলেচে– সমন্ডটার উপর বাদল সায়াহুর {য] ছায়া। বৃষ্টি নেমে এল— দূরে মেঘের ফাক দিয়ে সূৰ্য্যান্ডের একটা মান আভা। এই বৃষ্টিধারার আবেগের উপর যেন সান্ধনার ক্ষীণ প্রয়াসের মত এসে পড়েচে । আমার এই বোট ছাড়া নদীতে আর নীেকো নেই। এই জলস্থল আকাশের ছায়াবিষ্ট নিভৃত শ্যামলতার সঙ্গে মিল করে একটি গান তৈরি করতে ইচ্ছে করচে, >br@