পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করলুম না। কাগজে যা বেরিয়েচে তা ত বেরিয়েচে তার উপরে লোকমুখে বিসর্জনের অভিনয় আলোচনা এখনো চলচে। অধিকাংশ লোকের মত এই যে, এমন কাণ্ড তারা আর কখনো দেখে নি। আরো দশদিন যদি হত তাহলে দশদিনই ঘর ভরে যেত। অনেক লোকেই জায়গা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছে। প্রশান্ত কয়েকদিন পূৰ্ব্বে এখানে এসেছিল। তার প্রভাব এই যে আগামী শীতের সময় আমি পর্যায়ক্রমে রঘুপতি, এবং গোবিন্দমাণিক্য সেজে অভিনয়নৈপুণ্য দেখিয়ে সকলকে অভিভূত করে দিই। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, প্রশান্ত সেই সঙ্গে আমাকে অপর্ণ সাজতে অনুরোধ করে নি। তার থেকে এই প্রমাণ হয় যে, প্রশান্তর মতে অপর্ণার অভিনয়ে তোমার সঙ্গে টক্কর দিতে পারি আমার এমন সাধ্য নেই। এতে আমি মনের মধ্যে কিছু দুঃখ বোধ করেচি। সেই দুঃখের খেদে আমি রঘুপতি গোবিন্দমাণিক্য সেজে বাহাদুরী করতে কিছুতে সম্মত হলুম না। ধারা দেখিয়ে দিই। তার উপযুক্ত দেশকালপাত্র কবে জুটবে জানিনে – উইন্টারনিট্রজ আগামী ১৫ই তারিখে আশ্রম থেকে বিদায় নেবেন। তদুপলক্ষে বিশ্বভারতীর ছাত্ররা উত্তররামচরিতের একটা অংশ অভিনয় করবে।” সীতা বাসস্তী তমসা প্রভৃতি সাজবার জন্যে এখন থেকে পুরোদমে দাড়ি গোঁফ কামানো চলচে। এই ব্যাপার দেখে দীনু ভীষণ ক্ষাপা হয়ে উঠেচে, সে আকাশে তার দুই বাহু প্ৰক্ষেপ করে বলচে– ঘোর কলি এসেচে ঘনায়ে— ছিন্ন গুম্ফ দন্ত ভরে নারী-কান্তি হসিবারে {যj চায়, কাছা-কোচা সাড়িরূপে আস্ফালন করে! এই মাত্র তার দূতেরা আমার কাছে এসে তার আক্ষেপেক্তি জানিয়ে গেল। আমারও মনে ক্ষোভ জন্মালো। এই সেদিন যে আমি রঙ্গমঞ্চপরে দাঁড়ায়েছি গৰ্ব্বভরে, সাথে লয়ে অভিনেত্রী সখী মোর! আমার মনে হল যেন তারই १> २