পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কণ্ঠ আমাকে বলতে লাগল, “ভানুদাদা, এস যাই এ নাট্যমন্দির ছেড়ে ।” আমি তার জবাবে বললুম, “যাব যাব, তাই যাব, হায় রাণু, তাই যেতে হবে!” আগামী কাল অভিনয়ের দিন ; আমি ঠিক করেচি অভিনয় শেষ হয়ে গেলে উপস্থিত হয়ে ওদের উৎসাহ দেব। কারণ অভিনয়কালে উপস্থিত থাকলে উৎসাহ দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন হবে। এভুজ সাহেব এসেছেন। খুব শীর্ণ দুৰ্ব্বল, প্রায় সমস্ত দিনই শয্যা আশ্রয় করে আছেন। বলেন যে, তোমার সঙ্গে পথে কিম্বা ঘরে কোথাও একটুও ঝগড়া হয়নি। জিজ্ঞাসা করলেন বদ্ধমানে খুব যে চমৎকার ডিনার খাইয়েছিলেন তার বিবরণ তোমার পত্রে আমাকে জ্ঞাপন করা হয়েচে কি না। আমি বললুম, হয়েচে বৈ কি! কিন্তু বিবরণটা যে কি রকম সেটা আমি বিস্তারিত করে বলি নি। বললে শান্তি ভঙ্গ হত। সেখানে তাকে তোমাদের বাড়ির সকলে যে খুবই যত্ন করেছিলেন সে কথা বারবার করে বললেন— শুনে তোমাদের ওখানে কোনো এক সময়ে রোগশয্যা আশ্রয় করবার সঙ্কল্প আমার মনে দৃঢ় হল। কোনো রোগ যদি না জোটাতে পারি ত মাথা ধরতে কতক্ষণ। সেটা ত থাম্মোমিটার কিম্বা স্টেথোস্কোপ দিয়ে ধরা পড়ে না। পেট কামড়ানো, মাথা ধরা প্রভৃতি বহুবিধ দুলক্ষ্য রোগের তালিকা বাল্যকাল থেকে আমার কণ্ঠস্থ আছে; শাস্ত্রে বলে কলিযুগে নামেই পরিত্রাণ, ঐ সকল রোগের নাম গ্রহণ করেই আমি কঠিন স্কুলবন্ধন থেকে ত্ৰাণ পেতুম, তার চেয়ে বেশি দূর যাবার দরকারই হত না। তোমরা মুক্তি পিপাসু নও, এই জন্যে এ সকল তত্ত্বে তোমাদের অধিকার হয় নি। উইন্টারনিট্রস সেপ্টেম্বরের শেষভাগে কাশীতে যাবেন— তোমার বাবজাকে বোলো তার যেন উপযুক্ত অভ্যর্থনা হয়। সেদিন তিনি Indian Literature as a world Literature afo Ross of softon, খুব ভাল লেগেছিল! তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি তাকে বক্তৃতায় আমন্ত্রণ করা হয় তবে সেইটে তাকে বলতে বোলো। १>७