পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দায়িত্ব, সে ওকে না দেখলে ভাল করে অনুধাবন করতেই পারবে না। একে আমার বিশ্বভারতী তার উপরে বনমালী, ভাবনার আর অন্ত নেই। আমি বোধ হয় আর দুই তিনদিনের মধ্যেই রওনা হব। অতএব যদি চিঠি লেখ ত শাস্তিনিকেতনের ঠিকানায় লিখো। ইতি বোধ হচ্চে ১০ই ডিসেম্বর (১৯২৩] । ভানুদাদা > abr (জানুয়ারি ১৯২৪} শান্তিনিকেতন রাণু আজ সকালে তোমার পথের চিঠি পেয়েছিলুম, আবার আজ বিকেলেই তোমার ঘরের চিঠি পাওয়া গেল।’ তোমাকে তার আগেই একটা লম্বা চিঠি লিখে ডাকে রওনা করে দিয়েচি। প্রথমে ভেবেছিলুম ঐ একটা চিঠিতেই তোমার দুটো চিঠির জবাব সারা গেল। তার পরে ভাবলুম এই কয়দিন তুমি আমার চিঠির প্রত্যাশা করে ছিলে অথচ পাও নি— তার শোধ করবার উপলক্ষ্যে আর একটা চিঠি লিখে কাল পাঠালে তুমি খুসি হবে। কিন্তু আমার পত্রকে দৈনিক পত্রে পরিণত করতে পারব এমন আশা করে বোসো না। আমি ইতিপূৰ্ব্বে কখনো কখনো মাসিক পত্রের সম্পাদকতা করেচি— আমার লেখনী, পত্র সম্বন্ধে সেই রকম বিলম্বিত ছন্দই পছন্দ করে থাকে। অর্থাৎ আমি ভয়ঙ্কর কুঁড়ে; কিন্তু ইচ্ছাশক্তি চালনার জোরে কুঁড়েমি কাটিয়ে উঠতে পারতুম, কারণ এই জড়তা দীর্ঘসূত্রিতা আমারই २२ॐ