পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১। চিঠি ১০ জানালার কাছে বসে থাকা ১৯। চিঠি ছাড়া অন্য কিছু লেখা ২। চিঠি ১১। জানালার কাছে বসে থাকা ২০। সেই লেখা সংশোধন ৩। চিঠি ১২ জানালার কাছে বসে থাকা ২১। সেই লেখা পড়ে শোনানো ৪। চিঠি ১৩। জানালার কাছে বসে থাকা ২২। সেই লেখা কাগজে মোড়া ৫। চিঠি ১৪। জানালার কাছে বসে থাকা ২৩। সেই লেখা ডাকে পাঠানো ৬। চিঠি ১৫। ছাতের উপর বসে থাকা ২৪। সেই লেখা ছাপার অক্ষরে পড়া ৭। চিঠি ১৬। ছাতের উপর বসে থাকা ২৫। সেই লেখার সমালোচনা পড়া ৮। চিঠি ১৭। ছাতের উপর বসে থাকা ২৬। আরো সমালোচনা পড়া ৯। চিঠি ১৮। ছাতের উপর বসে থাকা ২৭। সেই লেখা সম্বন্ধে অনুতাপ করা এই ত সাতাশ দফা ফৰ্দ্দ দিলুম। শুনেচি তুমি বুদ্ধিমতী মেয়ে অঙ্ক কষতে পার। তুমি হয়ত হিসাব মিলিয়ে ঐ ২৭ থেকে ২টা রেখে ৭টা বাদ দিয়ে বলবে আমি কেবল লিখি আর কুঁড়েমি করি। অর্থাৎ কাজ আর অকাজ এই দুটি মাত্র ভাগে আমার দিন বিভক্ত। আর এটাও তুমি নিশ্চয় সন্দেহ করবে, কাজের চেয়ে অকাজের অংশই বেশি– পৃথিবীতে যেমন স্থলের চেয়ে জল। কিন্তু আমার কুঁড়েমিটাকে তুমি যে তুচ্ছ বলে কাজের চেয়ে ছোট করে দেখবে এটা আমার সহ্য হবে না। রাত্রিতে পৃথিবী দেখা যায় না কিন্তু তবু পৃথিবীটা থাকে তেমনি আমার কুঁড়েমির মধ্যে আমার কাজটা অদৃশ্য হয়ে যায় কিন্তু তবু সে থাকে। যা হোক এ সব কথা নিয়ে তোমার সঙ্গে তর্ক করব না। কেননা তর্ক করার চেয়ে তর্ক না করাতে অনেক পরিশ্রম বাচে– এই পরিশ্রম বাচানোর উপায় বের করাই আমার এখনকার সবর্ণপ্রধান ভাবনা। আজ এই পৰ্য্যস্ত। নীচের ঘরে বিত্তর লোক এসে জমেচে— তাদের প্রধান কাজ হচ্চে আমাকে কাজ করতে না দেওয়া এবং কুঁড়েমি করতেও বাধা দেওয়া। ইতি ২রা অগ্রহায়ণ ১৩২৪ শুভানুধ্যায়ী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর እ»°ል እ»br ] :