পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগ হওয়া সম্ভবপর নয়, তুমি ছাড়া আর কারো যে যোগ আছে তাও নয়— ঐখানে বিধাতা আমাকে অনেকটা পরিমাণে একলা করে দিয়েচেন। কিন্তু তুমি হঠাৎ এসে আমার সেই জীবনের জটিলতার একান্তে যেবাসাটি বেঁধেচ, তাতে আমাকে আনন্দ দিয়েচে । হয়ত আমার কৰ্ম্মে আমার সাধনায় এই জিনিষটির বিশেষ প্রয়োজন ছিল, তাই আমার বিধাতা এই রসটুকু আমাকে জুটিয়ে দিয়েচেন। আমার অনেক সহযোগী আছে যারা আমার কৰ্ম্মে আমাকে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে, তুমি তা কর না; আমার জীবনের লক্ষ্যের দিকে তুমি হয়ত আমাকে সম্পূর্ণ বুঝতে এখনো পার না। কিন্তু জীবনের সেই লক্ষ্য যেখানেই থাক না, তুমি তোমার সরল প্রাণের অর্ঘ্যের দ্বারা আমার সেই জীবনকেই যা দিয়েচ তুমি কি মনে কর সে আমার পক্ষে সম্পূর্ণ অনাবশ্যক? তা যদি হত তাহলে তুমি কখনই আমার কাছে আসতে পেতে না। কেন না আমি জানি আমার ভাগ্যদেবতা আমাকে দিয়ে তার একটা কোনো বিশেষ কাজ আদায় করবেন বলেই শিশুকাল থেকে আমার জীবনকে নানা অবস্থার মধ্যে দিয়ে গড়ে নিচ্চেন। তারি ডাকে আজ হঠাৎ তুমিও আমার কাছে এসে দাঁড়িয়েচ। কি রকম অভাবনীয়রূপে এসেচ সে কথা মনে করলে আশ্চর্য হতে হয় না কি ? আমার পক্ষে তুমি যে বন্ধন হয়ে আসবে এ কিছুতে হতেই পারে না, কেননা মুক্ত না থাকলে, আমার মধ্যে যা সব চেয়ে বড় তাকে আমি ব্যক্ত করতে পারি নে, আর তা না করতে পারা আমার পক্ষে এক রকমের মৃত্যুরই মত। সেই জন্যেই তুমি আমার জীবনের প্রাঙ্গণে ফুল-ফোঁটা লতার মতই এসেচ, বেড়ার মত আস নি। তোমার সেই ফুলের গন্ধ আমার মনে লেগেচে। তারই আনন্দ আমার কাজের অনেক ক্লান্তি দূর করে, এবং অবকাশের মধ্যে গানের সুর লাগায়। আমি তোমাকে উপেক্ষা করে আমার জীবনের ক্ষেত্র থেকে দূরে সরিয়ে রেখেটি এই কথা কল্পনা করে তুমি নিজেকে ९ट9ॐ