পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক জনসভায় নিয়ে আসে— তখন নিজের মধ্যে পূর্ণকে দেখে বিস্থিত হই। তখন বলি, ফাকি ত দেখতে পাইনে, ভয় কিসের নিজেকে সেই সার্থক করে দেখার আনন্দ খুব বড় জিনিষ— তাতেই জীবনের সব প্লানি চলে যায়, ছোট আমিটার সব অপরাধ মোচন হয়। তুমি যদি ভানুদাদাকে ভালোবাসো তা হলে তার এই সার্থকতাকে তুমি অভিনন্দন কর— যাতে সে সঙ্কীর্ণ পরিধির মধ্যে সঙ্কুচিত হয়ে, ক্ষুদ্রতার ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে, অবসন্ন হয়ে না থাকে সেই কামনা কর। যে কৰ্ম্ম সত্যই আমার, সেই কৰ্ম্মেই আমার মুক্তি— সেই মুক্তির মধ্যে যখন আমি নিজেকে দেখি তখনই আমার জীবনের আকাশ প্রসন্ন হয়ে ওঠে— আমার জীবনের সেই প্রসন্নতায় তোমার চিত্ত প্রসন্ন হোকৃ— আমার সঙ্গ পাওয়ার চেয়েও তাতে তুমি আমাকে অনেক বেশি করে পাও এই আমি কামনা করি। অনেক রাত হল। ইতি ৩০ ফাল্গুন ১৩৩০ ভানুদাদা У 8. o ১৫ {১৬] মার্চ ১৯২৪ [শাস্তিনিকেতন] রাণু তুমি হয় ত ভাবচ এতক্ষণে আমি কলকাতায়। কারণ জাহাজ ছাড়বার সময় কাছে আসচে। কিন্তু এখনো আশ্রম আঁকড়ে আছি। পশু মঙ্গলবার বিকেলের গাড়িতে কলকাতায় যাত্রা করব।” ইতিমধ্যে এখানে বসে যতটা পারি চীনের লেকচার লেখবার ইচ্ছে আছে। তোমাদের সেই দোতলার Neరి