পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8良 [২৭ মার্চ ১৯২৪] রেঙ্গুন রাণু আজ তিনদিন রেঙ্গুনে জাহাজ থেমে ছিল। তাই এখানকার জনসাধারণ হিড় হিড় করে আমাকে ডাঙ্গায় টেনে আনলে। এরা সকলে মিলে রিসেপশন কমিটি বলে একটা পদার্থ সৃষ্টি করেচে। সেই পদার্থ আমার কানের কাছে জয় কবিরাজ রবীন্দ্রনাথ টাগো-ও-ও-ওর কী জয় বলে 'চেচাচ্চে, আমার গলায় মালা দিচ্চে, আমাকে গলদা চিংড়ির কালিয়া খাওয়াচ্চে, সহরের মাঝখানে একটা দোতলা বাড়ি ঠিক করে দিয়েচে, সেই বাড়িতে মানুষ আর মশা দিনরাত্রি ভল্ভন করচে। সেই পদার্থ আমাকে {য] পরের সভায় সাতটায়, তার পরের ভোজে সাড়ে নটায় ঘুরপাক খাওয়াচ্চে। সেই পদার্থ আমাকে মাচার উপর চডিয়ে বক্তৃতা করাচ্চে আর সভাপতিকে দিয়ে বলাচ্চে আমি একধারে কবি ঋষি তত্ত্বজ্ঞানী শিক্ষক স্বদেশপ্রেমিক ইত্যাদি ইত্যাদি— শুনতে শুনতে ক্রমে আমার বিশ্বাস হচ্চে যে, তারা যা বলচে কথাটা সম্পূর্ণ আজগুবী নয়— নিশ্চয়ই সৰ্ব্বগুণ আমার মধ্যে মিলে আগুন হয়ে উঠেচে— এখন এর উপরে fire brigade লাগিয়ে দিয়ে নিৰ্ব্বাণ মুক্তি লাভ করলে বাচি। আজ অপরাহু দুটোর পর কমিটি রাহুর পূর্ণগ্রাস থেকে রবি বেরিয়ে আসবেন। আজ বৃহস্পতিবারে জাহাজ ছাড়বে বেলা চারটের সময়— জাহাজের ঘাটে পৌঁছতে হবে দুটোর মধ্যে। কমিটি নামক পদার্থ— শতশতকণ্ঠকলকল নিনাদকরালা— আমার পিছন পিছন গলা ভাঙতে ভাঙতে চলবে “জয় কবি-ই রা-আজ রবীন্দ্রনাথ টাগো-ও-ও-ওর কী জয়!” রবীন্দ্রনাথ তখন মালার ভারে ՀՏեr