পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণীর শুশ্রীষায় লেখার মধ্যে রস সঞ্চার করছিল। এখানে রৌদ্র করছে বাঝা, গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ে বাগানটা গরীবের মতো হয়ে আসচে। তা ছাড়া লোকের সঙ্গ আর কাজের তাগিদ বেড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাড়ের উপর এসে পড়চে, গল্পটাকে কুনুয়ের ঠেলা মেরে এক পাশে সরিয়ে দিয়েচে। এবারে গরমের সময় এখানে থাকা যদি নিতান্ত দুঃসহ হয় তবে পুরীতে যাব মনে করচি। রর্থীরা দার্জিলিং যাবে, সেখানে ওর শরীর ভালো থাকে। তোদের কোথায় গতি ? বীরেন বলেছিল জাৰ্ম্মণী থেকে ফুলের, সবজির, ভালো বীজ সত্তায় পাওয়া যায়, যদি ঠিকানা পাই তবে আমরাও আনিয়ে নিই এবং ফল ভোগ করি। ফল যদি বেশি ফলে কৃতজ্ঞতার অর্ঘ্যস্বরূপ কিছু অংশ তোদের স্বারেও পেছিয়ে দিতে পারি। ভেবে দেখিস। ইতি ১৪ মার্চ ১৯৩৩ ভানুদাদা >>d ১ ফাল্গুন ১৩৪০ [কলকাতা] কল্যাণীয়াসু রাণু এবার শান্তিনিকেতন থেকে হাবড়ার প্ল্যাটফরমে এসে দেখলুম শরীরটা চলতে চায় না, দশ পা চললেই বুকে পিঠে ব্যথা ধরে এ অবস্থায় তার প্রতি অনাবশ্যক জবরদত্তি আত্মঘাতের পন্থা। এখানে এসে দুই তিনটে বক্তৃতা করতে হয়েচে তাতেও ক্লান্ডির বোঝা বাড়িয়ে তুলেচি। এর উপরে আর চলবেনী— কাশীতে যাওয়ার সঙ্কল্প ছাড়তে বাধ্য হতে হোলো। w© ©ማል >br a ९२