পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং আনন্দকে তোমার মধ্যে পৌছিয়ে দিচ্চেন। পথের থেকে যে চিঠি লিখেছিলে সেটা কাল পেয়েছিলুম। তার উত্তর দিয়েচি। আজ যেটা কাশী থেকে লিখেচ’ সেটাতে ছোট বউ গাবলোর বউ প্রভৃতির মঙ্গল সংবাদ পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়েচি। তোমাদের কাশীতে গরম; এখানেও মন্দ গরম না। যদিও কাল খুব ঘন মেঘ করে বৃষ্টি হয়ে গেছে। আজ রৌদ্রে সব শুকিয়ে গেছে। এতক্ষণ দুপুর বেলায় তোমার পরামর্শমত খাবার পর অনেকক্ষণ বিছানায় পড়ে কাটিয়েচি। খানিকটা ঘুমিয়েচি খানিকটা বই পড়েচি। এমন সময় আমার ঘড়িতে ঢং ঢং করে তিনটে বাজল। অমনি ধড়ফড় উঠে পড়ে আমার সেই কোণে এসে তোমার চিঠি লিখতে বসেচি। আজ আমার ডেস্কের উপরকার ফুলদানীতে কেবল কদম ফুল সাজিয়ে দিয়ে গেচে— আমি চেষ্টা করব তোমাকে তার একটা ছবি একে দিতে। এর আগের চিঠিতে তুমি আমাকে যে সব ছবি একে পাঠিয়েছিলে তার জবাব দেওয়া হয়নি— ভাল হোক আর মন্দ হোক এবার তার জবাব দিতে হবে। একটা কথা তোমার সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিই। তুমি বলেচ কেউ আমাকে বয়েস জিজ্ঞাসা করলে সাতাশ বলতে। আমার ভয় হয় পাছে লোকে সাতাশ শুনতে সাতাশি শুনে বসে, আর সেইটেই সহজে বিশ্বাস করে বসে। সেইজন্যে, তুমি যদি রাজি থাক তাহলে আমি আর একটা বছর কমিয়ে বলতে পারি। কেন না ছাব্বিশ বল্লে ওর থেকে আর কিছু ভুল করবার ভাবনা থাকেনা। এইবার আমার বই লেখবার সময় এল। সেই সুভাকে নিয়ে পড়তে হবে। পিগমিদের গল্পটার থেকে লেখা শেষ করেচি “ আমার সেই পঞ্চম ক্লাস মনে আছে ত? কেমন মজা ? সেই সমরেশ জ্যোতিষ আভাসরা" তেমনি করেই সবাই মিলে চীৎকার করে— রাস্তা থেকে তাদের গলা শুনতে পাওয়া যায়। ঐ ক্লাসটা আমার বেশ লাগে। থার্ড ক্লাসের ছেলেরাও ՀԵr