পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একজিমা প্রভৃতি দুঃসাধ্য রোগে ইনজেকশন একমাত্র চিকিৎসা। অতএব এ জন্যে রাণুর বাবার কলকাতায় কিম্বা এলাহাবাদে যেখানে উপযুক্ত চিকিৎসক আছেন এমন জায়গায় যাওয়া উচিত। আমার আশঙ্কা এই যে, কলকাতায় ওঁকে পেলে ওঁর উপর উৎপাত করবার চেষ্টা চলবে। যদি বাধ্য হয়ে আসতে হয় তাহলে প্রশাস্তর বাড়িতে থাকলে কতকটা নিরাপদে থাকতে পারবেন। গরমের সময় কাসিয়াং কিম্বা দাজ্জিলিঙে প্রায় সব বড় বড় চিকিৎসক গিয়ে থাকেন অতএব সেখানেও খুব সম্ভব সুচিকিৎসার ব্যবস্থা সহজ হবে। ডাক্তার আমাকে শিলং পাহাড়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু এখানে আমার নতুন বাড়িতে একরকম গুছিয়ে বসেছি কোথাও নড়তে ইচ্ছে করচেনা। যুরোপ যাত্রার পূৰ্ব্বে বৃথা নড়াচড়ার হাঙ্গাম করে আরো ক্লাস্তি বাড়িয়ে তুলে কোনো ফল নেই। এখানে এখনো কিছুমাত্র গরম পড়ে নি বললেই হয়। এমন কি, রাত্রে গায়ে কাপড় দিতে হয়। প্রায় মাঝে মাঝে মেঘ করচে। আজ সকালে বৃষ্টি হয়ে গেচে— এখনো সূর্য দেখা দেয় নি— ঠাণ্ডা বাতাস বইচে । আমি সমস্ত দিনই প্রায় বাইরে খোলা হাওয়াতে থাকি। লেখাপড়া বেশি কিছু করিনে— আমার মনটা যেন এই আকাশ দিয়েই ভরে আছি। শরীরের উপর বিরক্ত হয়ে আরেকবার সকাল সকাল যুরোপ বেরিয়ে পড়বার ইচ্ছা করেছিলুম। কিন্তু সেই ইচ্ছা চুকিয়ে দেওয়া গেল। রাণুর যাবে। তখন ভারতসমুদ্র বর্ষার হাওয়ায় বড় অশাস্ত হয়। আশা করি আমাকে তাতে বেশি দুঃখ দেবেন। শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "එbr8