পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের কাছে দায়িত্ব আছে এবং সে দায়িত্ব অতি গুরুতর— সম্পূর্ণ উপলব্ধির সঙ্গে এটাকে মনে রাখা পাসের মার্কার চেয়ে অনেক বড়ো। আমি এদের জিজ্ঞাসা করলুম, “কেউ কোনো অপরাধ করলে এখানে তার বিধান কি?" নিজেদের শাক্তি দিই।” আমি বললুম, “আর একটু বিস্তারিত করে বলে। কেউ অপরাধ করলে মধ্যে থেকে কাউকে কি তোমরা বিচারক নিৰ্ব্বাচন করে ? শাস্তি দেবার বিধিই বা কি রকমের ?” একটি মেয়ে বললে— “বিচার সভা যাকে বলে তা নয়, আমরা বলা কওয়া করি। কাউকে অপরাধী করাই শাস্তি, তার চেয়ে শাস্তি আর নেই।” একটি ছেলে বললে, “সেও দুঃখিত হয় আমরাও দুঃখিত হই, বাস চুকে যায়।” আমি বললুম, “মনে করো কোনো ছেলে যদি ভাবে তার প্রতি অযথা দোষারোপ হচ্চে তা হলে তোমাদের উপরেও আর কারো কাছে কি সে ছেলের আপিল চলে ?” ছেলেটি বললে, “তখন আমরা ভোট নিই— অধিকাংশের মতে যদি স্থির হয় যে সে অপরাধ করেছে তাহলে তার উপরে আর কথা চলেনা।" আমি বললুম, “কথা না চলতে পারে কিন্তু তবু ছেলেটি যদি মনে করে অধিকাংশেই তার উপরে অন্যায় করচে তাহলে তার কোনো প্রতিবিধান আছে কি ?” একটি মেয়ে উঠে বললে, “তাহলে হয় তো আমরা শিক্ষকদের পরামর্শ নিতে যাই কিন্তু এ রকম ঘটনা কখনো ঘটে নি।” আমি বললুম, “যে একটি সাধনার মধ্যে সকলে আছ সেইটেতেই @> R