পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপনা হতেই অপরাধ থেকে তোমাদের রক্ষা করে।” ওদের কৰ্ত্তব্য কি প্রশ্ন করাতে বললে, “অন্য দেশের লোকেরা নিজের কাজের জন্য অর্থ চায় সম্মান চায় আমরা তার কিছুই চাইনে আমরা সাধারণের হিত চাই। আমরা গায়ের লোকদের শিক্ষা দেবার জন্যে পাড়াগাঁয়ে যাই, কি করে পরিষ্কার হয়ে থাকতে হয়, সকল কাজ কি করে বুদ্ধিপূৰ্ব্বক করতে হয় এই সব তাদের বুঝিয়ে দিই। অনেক সময়ে আমরা তাদের মধ্যে গিয়েই বাস করি। নাটক অভিনয় করি, দেশের অবস্থাল কথা বলি।” তার পরে আমাকে দেখাতে চাইলে কাকে ওরা বলে সজীব সংবাদপত্র। আমরা যা জানি তাই আবার অন্য সবাইকে জানানো আমাদের কৰ্ত্তব্য। কেননা ঠিকমতো করে তথ্যগুলিকে জানতে এবং তাদের সম্বন্ধে চিস্তা একটি ছেলে বললে, “প্রথমে আমরা বই থেকে, আমাদের শিক্ষকের কাছ থেকে শিখি, তার পরে তাই নিয়ে আমরা পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করি, তার পরে সেইগুলো সাধারণকে জানাবার জনো যাবার হুকুম হয়।” সজীব সংবাদপত্র অভিনয় করে আমাকে দেখালে। বিষয়টা হচ্চে এদের পঞ্চবার্ষিক সংকল্প। ব্যাপারটা হচ্চে এরা কঠিন পণ করেচে পাঁচবছরের মধ্যে সমস্ত দেশকে এরা যন্ত্র-শক্তিতে সুদক্ষ করে তুলবে, বিদ্যুৎশক্তি বাম্পশক্তিকে দেশের এক ধার থেকে আর এক ধার পর্য্যস্ত কাজে লাগিয়ে দেবে। এদের দেশ বলতে কেবল যুরোপীয় রাশিয়া বোঝায় না, এসিয়ার অনেকদূর পর্যন্ত তার বিস্তার। সেখানেও নিয়ে যাবে এদের শক্তির বাহনকে। জন্যে— সেই জনসমষ্টির মধ্যে মধা এসিয়ার অসিতচৰ্ম্ম মানুষও আছে। তারাও শক্তির অধিকারী হবে বলে ভয় নেই ভাবনা নেই। এই কাজের জন্যে এদের প্রভূত টাকার দরকার— যুরোপীয় বড়োবাজারে এদের হুণ্ডি Vඑංකුම්