পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন সকাল। কানপুর স্টেফানে ভীড় কমে গ্যাছে। তবুও কিছু লোক আছে। এখন খুব রোদ হয়েছে। খানিকক্ষণ পরেই এত গরম হবে। এখন গাড়ীর দুধারে শুধু জঙ্গল। আর ঠীক নদীর মত অনেক নহর। সেই নহরগুলো দুধারেও গাছ। এখন অম্বিয়াপুর বলে একটা জায়গায় গাড়ী থেমেছে। এর নাম অম্বিয়াপুর কেন জানেন। এই জায়গায় অনেক আম গাছ আছে আর তাতে আনেএএক আম রয়েছে। এখন সামহন বোলে একটা জায়গায় গাড়ী থেমেছে। এখানকার প্লাটফর্ম এত নিচুতে। লোকেরা সব এত কষ্ট কোরে উঠছে। ভানুদাদা, এক্ষুণি এটাবায় গাড়ী থেমেছিল। এই ইষ্টিসানটা বেশ বড়। শুনুন, আমাদের পাশে একটা মালগাড়ী দাড়িয়ে ছিল। সেই গাড়ীটার ভেতরে সব বাচা মহিষ আর মহিষের বাচ্চা ছিল। তাদের সঙ্গে একজন লোকও ছিল। কি মজা। আমরা যে সব গ্রাম দেখতে পাচ্ছি সেগুলো এমন আশ্চৰ্য্য। তাদের চারিধারে একটা উঁচু মাঠীর দেয়াল। আর সেই দেয়ালের ভেতরে গ্রাম। এখন বোধহয় ১। বেজেছে। এত্তো গরম হয়েছে। গাড়ী তেতে উঠেছে। এক্ষুণি একটা খুব বড় স্টেশনে এসেছিলাম। তার নাম ভুলে গেছি। গাড়ী এত্ত গরম হয়েছে। আরো দুঘণ্টা পরে আলীগড় পৌছুব। বাবা, গাড়ীটা কী নড়ছে খানিকক্ষণ হোলো সেই হায়দ্রাবাদের লোকেরা চলে গেল। এবার খুব শিগ্গিরি আলিগড়ে পাঁচুব। ভানুদাদা কাল আমরা আলিগড়ে পাঁছেছি। আজ সকালে এখন আমরা আলিগড়ে। এখানে কাশীর চেয়ে সকালবেলা বেশী শীত করে। এখানে রাত্তাগুলো বেশ পরিষ্কার। এই বাড়ীর সামনেই গ্রান্ড ট্রন্থ রোড। কাল আমি আশা আর বাবু রাত্তিরবেলা আচলেশ্বরএর মন্দির আর তার পাশের 826?