পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে চাবীটা গলায় বেঁধে রেখেছি। সারা বাড়ী খুঁড়ে বেড়ালাম কোথাও পেলাম না। আমি ভাবলাম বুঝি বাক্সটা আর খুলতেই পাৰ্ব্ব না। শেষে নাইবার সময় যখন সব জামা খুলে ফেলেছি এমন সময় দেখি যে চাবীটা হারিয়ে যায়নি। কি মজা। জানেন? যে পোষ্টমান চিঠিটা নিয়ে এল সে বুঝতে পারেনি যে ওটা আমার চিঠি। সে শান্তিকে জিজ্ঞেস কোরছিল যে আমায় এই চিঠির ঠিকানাটা পড়ে দাওতো। শান্তি দেখেই বুঝতে পেরেছিল যে ওটা আমার চিঠি। ও তাই চিঠিটা তার কাছে থেকে নিয়ে নিল। এবার থেকে পোষ্টম্যানটা আর ভুল কোরবে না। ও চিনে গ্যাছে কিনা। সোলনে আমরা রোজ সকাল ব্যালা আর সন্ধ্যেব্যালা ব্যাড়াতে যাই। কেবল কাল আর আজ যাইনি। ক্যান জানেন। কাল আশার আর শাস্তির একটু জ্বর হোয়েছিল। আজ দুজনেই ভাল আছে। কাল সন্ধ্যেব্যালা থেকে আমার গলাতেও খুব ব্যাথা হোয়েছিল। আজ সেরে গ্যাছে। এখানে খুব কম গাছ। এ্যাক্কেবারে ন্যাড়া। আলমোরা এর চেয়ে ঢের ভাল। এখানে বিষ্টি হোলে খুব ঠাণ্ডা হয়। তাই যেদিন এখানে এসে পৗছেছিলাম সেদিন খুব ঠাণ্ডা ছিল। আর একটু রোদ হোলেই গরম হয়। আজকাল গরম হয়। একটু বিষ্টি হোলে বাঁচি। এখানে একজন বাঙালী আছেন। তার নাম অবিনাশ বাবু। একদিন আমরা তার বাড়ী ব্যাড়াতে গেছি। তার যে স্ত্রী তিনি লেনু বোলে একজন চাকরকে ডাকতে লাগলেন। আপনার বাবারোতো লেনু বোলে একজন পাঞ্জাবী চাকর ছিল। জীবনস্মৃতিতে যে আছে। এও পাঞ্জাবী। আমি ভাবলাম সেই লেনুই। দেখুন, এখানে ব্যাড়াবার সব চাইতে ভাল রাস্তাগুলোতেই যেতে দ্যায় না। বলে এটা ক্যান্টরমেন্ট। কাস্টমেন্ট তো ভারি। ১০ । ১২ জোন গোরা আছে। এমন রাগ হয়। আমি একদিন নিশ্চয় এ্যাকলাই সেখানে যাব। দেখবো কি করে। আপনি আজকাল শান্তিনিকেতনে বুঝি একলাই ○○○