পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওদের জন্য যে কাজ করি তার কোনো মূল্য আছে। ওরা যেমন অনায়াসে সূর্যের কাছ থেকে তার আলো নেয় আমাদের হাত থেকে তেমনি অনায়াসে সেবা নেয়। হাটে দোকানদারের কাছ থেকে যেমন করে দরদস্তুর করে জিনিস কিনতে হয় তেমন করে নয়। এরা যখন বড় হবে, যখন সংসারের কাজে প্রবেশ করবে তখন হয়ত মনে পড়বে— এই আশ্রমের প্রাস্তর, এখানকার শালের বীথিকা, এখানকার আকাশের উদার আলো এবং উন্মুক্ত সমীরণ এবং প্রতিদিন সকালে বিকালে এখানে আকাশতলে নীরবে বসে ঠাকুরকে প্রণাম। আর সেই সঙ্গে আমাদের কথাও মনে পড়বে। যদি এই স্মৃতিতে ওদের মনকে উদার করে, চরিত্রকে সবল করে, ওরা যদি এই বিশ্বজগৎকে এবং নিজের জীবনকে বড় করে দেখতে পারে তাহলেই আমার পুরস্কার হল— তাহলে ওদের সার্থক জীবনের মধ্যে আমার জীবনও সার্থক হল, ওদের পূজার মধ্যে আমার পূজা, ওদের প্রণামের মধ্যে আমার প্রণাম রয়ে গেল। ইতি ১২ শ্রাবণ ১৩২৫ । তোমার রবিদাদা હૈ রাণু আজ বুধবার। আজ সকালে মন্দিরের কাজ শেষ করে যখন আমার সেই কোণের বিছানায় এসে বসেচি এমন সময় তোমার চিঠিখানি পেলুম। আমার মনে হল ঠিক সময়ই যেন তোমার চিঠি এল। এ চিঠি কাল এসে পৌঁছবার কথা ছিল বোধহয় পোষ্টমাষ্টারের কুঁড়েমিতে কাল পাইনি— 88