পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঢুক্ছিল। এমন সময় বাবজা আমাকে আপনার চিঠিটা এনে দিলেন। এবার অনেকদিন পরে আপনি আমায় চিঠি দিলেন। আমি আপনার চিঠি পেয়ে খুব খুসী হয়েছি। বাবজা বোলেছেন যে আমাকে জুলাই মাসে বোধহয় আপনার কাছে নিয়ে যাকেন। বাবজা যদি ছুটী না পান তো আমি এ্যাকলাই আসব। আমি এ্যাকলা যদি আসি তো আপনি কি করেন? তাহলে বেশ মজা হয়। আমিও আপনাকে গল্প বোলবোখেন। কাল আমি, মা, আশা, ভক্তি, বাবু সবাই বরোগ বলে এ্যাকটা জায়গায় ব্যাড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানটা খুব সুন্দোর আর পাইন গাছে ঢাকা। সেখানে এ্যাকটা ঝরণা আছে সেটা ঠীক সেই জীবনস্মৃতির ঝরণার ছবিটার মতন। আমি সেই ঝরণাটাতে গা ধুয়ে ছিলাম। আমরা ফেরবার সময় রেলের লাইন ধোরে এসেছিলাম। হেঁটে চার পাঁচটা টনেলও পার হয়েছি। এ্যাকটা টনেল যখন পার হচ্ছি এ্যামোন সময় ট্রেনের whistle শুনতে পেলাম। দৌড়ে টনেলটা পার যেই হোয়েছি ওমনি ট্রেনটা টনেলে ঢুকলো। আর একটু দেরী হোলেই টনেলটায় চাপা পোড়ে যেতাম। বাবা। আমরা যখন বাড়ী ফিরলাম তখন ৪টে বেজে গ্যাছে। কি মজা হোলো। আমাদের বাড়ীর সামনে দু তিন দিন হোলো এ্যাকটা প্রকাণ্ড ম্যালা হোয়ে গ্যাছে। আমি আপনাকে তার এ্যাকটা ছবি দেব। সেই ম্যালার একদিন আগে থেকে জুয়া খালা সুরু হোয়ে ছিল। আমাদের বাড়ীর ঠীক নীচেই এ্যাকদল খেলছিল। তাদের খ্যালা দেখে আমিও জুয়া খেলা শিখে গেছি। আমি যদি বোলপুরে যাই, আপনার সঙ্গে খেলবোখোন। আমি আপনাকে শিখিয়ে দেবোখোন খেলতে। ছ সাতটা নাগর দোলাও এসেছিল। আমি চড়তাম কিন্তু মা চড়তে দিলেন না। অনেক লোকও এসেছিল। সেই ম্যালায় একজন লোক একটা অজগর সাপ নিয়ে এসেছিল। সে সাপটা আবার চোলে ব্যাড়াচ্ছিল। এখখুনি বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ আর আষাঢ় মাসের শান্তিনিকেতন এলো। যেটা আমার না। তাতে আমার নামটা কে লিখেছে। আপনি তো লেখেন নি ? Qの8