পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক লাইনের একটা ছোট্ট চিঠি দেবেন ভানুদাদা যে সেদিন আমাকে মনে হয়েছে আপনার। আমি আপনার কে ভানুদাদা? আমি আপনার বন্ধুও নই, আর কেউ জানবেও না, ভানুদাদা। আমাকে পথের মাঝখান থেকে আপনি একদিন কুড়িয়ে নিয়েছিলেন, তারপর যেই আপনার একটু খারাপ লাগল পথেই ফেলে দিয়ে গেলেন। ভানুদাদা— আমি কি বলব? ভালবাসার কি একটা দাবী নেই? ভানুদাদা, আপনি কি আমাকে ক্ষমা করতে পারেন না? আমার যে ভারী কায়া পায় ভানুদাদা। ভানুদাদা, আমি ত বেশী কিছু অন্যায় করিনি। আমি Parisএ কিরকম কষ্ট পেয়ে আপনাকে চার পাঁচখানা চিঠি লিখেছি। ভানুদাদা— একটুও কি আপনাকে move করল না ? ভানুদাদা, আমি কতসময় ভাবি যে অভিমান করে আপনাকে চিঠি লিখব না, কিন্তু কি রকম একলা, কি রকম বুকে কষ্ট হয় তাই আজ আবার লিখছি। ভানুদাদা, দয়া করেও কি এক লাইন লেখা যায় না? ভানুদাদা, কোলকাতা থেকে ফিরে এসেই আমার জ্বর হয়েছিল। আপনার চিঠি কখানা সেই সময়ই পাই। ভানুদাদা, আমি এত দোষ করেছি যে আপনাকে আমি আর ভালবাসতে পাব না? ভানুদাদা, আপনিই ত কতবার বলেছেন যে আমাদের সত্যিকারের বিয়ে হয়ে গেছে।” তবে আপনি কি বলে আমাকে এমনভাবে অপমান করেছেন? আমাকে চিঠিতে আপনি যত খুসী বকুন না কিন্তু মাকে কেন লিখলেন? ভানুদাদা, আমি আপনাকে কি বলব, আমি সেই সময় গুলো সেই দুপুরবেলা সেই সন্ধ্যে সকাল, রাত্রি, সেই আপনার একেবারে কাছে বসে যখন গল্প করতুম, সেই সময়গুলো ভাবতে পারি না। বুক টনটন করতে থাকে— এত কষ্ট হয় কিন্তু তবু বারবার ভাবতে ইচ্ছে করে। ভানুদাদা, সে সব হয়ত আপনার জীবনের একটী খেলার পালা কিন্তু আমার তা নয়। নয়, একেবারে নয়। এ যদি আমার জীবনে মিথ্যে হয় ভানুদাদা তাহলে পৃথিবীতে সত্য কাকে বলব? আমি একটুখানি ভাল হতেই আমরা আলীগড় গিয়েছিলুম, সেখানে গিয়েই আমার আবার & S >