পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ উপাসনার পরে পেলুম, তাই আমার সেই সকাল বেলাকার উপাসনার মিষ্টি লাগল। আমার ভয় ছিল পাছে আমার বড় চিঠিটা ঠিক বুঝতে না পেরে তোমার মনে আঘাত লাগে। কিন্তু তুমি যে ঠিক বুঝতে পেরেচ এবং আমার সব কথা মনের মধ্যে নিতে পেরেচ এতে আমার খুব আনন্দ হয়েচে। তোমার জীবনটি প্রতিদিন মধুর হয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে— তোমার জীবনের উপর তোমার ঠাকুরের আশীৰ্ব্বাদের অমৃত বর্ষিত হয়ে প্রতিদিন তোমাকে সুধাপূর্ণ করতে থাকবে— সংসারকে তুমি সুন্দর করবে, সকলের তুমি কল্যাণ করবে, অপরাধীকে ক্ষমা করবে, দুৰ্ব্বলকে দয়া করবে, দুঃখ তাপ নৈরাশা সহ্য করবার শক্তি লাভ করবে এবং সমস্ত জীবন মনকে নম্র করে ঠাকুরকে প্রণাম করতে পারবে আমি একান্ত মনে এই কামনা করচি। তোমাকে আমি খুব ভালবাসি— তোমার পক্ষে সেই ভালবাসা যেন সম্পূর্ণরূপে ভাল হয়, যেন সকল দিক দিয়ে ভাল করে, নইলে আমার দুঃখের আর অস্ত থাকবে না। আমার মধ্যে যেটুকু ভাল, যেটুকু সত্য সেইটুকু যদি তোমাকে দিতে পারি তাহলে সে আমারই লাভ— কেননা তাতে আমার ভাল আমার সতা তোমার মধ্যে গিয়ে আরো বড় হয়ে যাবে তাতে তুমি আমাকে আমার ঠাকুরের সেবা করার কাজে সাহায্য করতে পারবে-- আমার মধ্যে যা ছোট আছে, যা মন্দ আছে তা এমনি করেই ক্ষয় হতে থাকবে। কাল আমার পঞ্চমবগের ছেলেরা দুপুর বেলায় এসে ধরে পড়ল, তাদের খাওয়াতে হবে। দেখেচ আমার এই বাদরগুলো কি লোভী! তোমার কাশীর বাদরের চেয়ে এদের লোভ। সমরেশ হচ্চে ওদের সদার । সেই আমার কাছে এসে দরখাভ করলে। আমি বালুম আচ্ছা বেশ। তাই সন্ধ্যাবেলায় আমার নীচের দক্ষিণের বারান্দায় বসে ওদের ভোজ হয়ে গেছে। ওদের ফরমাস ছিল লুচির। লুচি ডাল ছোক চাটনি যেমনি পাতে 8 &