পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ রাণুকে আমন্ত্রণ জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘তোমরা যখন আসবে তখন আমার সমস্ত চিঠি সঙ্গে করে এনো। সকলের ইচ্ছা সে চিঠিগুলি রক্ষা করা হয়— এখানে যত্ন করেই রাখা হবে। রাণু মূলপত্র দেন নি, কিন্তু তখন পর্যন্ত লেখা রবীন্দ্রনাথের অধিকাংশ পত্রের প্রতিলিপি নিজের হাতে প্রস্তুত করে তার হাতে তুলে দেন। কিন্তু এর পরেও আর-একটি প্রতিলিপি প্রস্তুত করানো হয়। এই দ্বিতীয় প্রতিলিপির খাতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ব্যাপক সম্পাদনা করেন। কিছু পত্র সম্পূর্ণ ও কিছু পত্রের অংশবিশেষ বজিত হয়, সর্বত্রই সম্বোধন ও স্বাক্ষর বাদ যায়, সামান্য কিছু সংশোধন ও সংযোজনও হয়েছে। বোঝা যায়, ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ‘ভানুসিংহের পত্রাবলী প্রকাশের জন্য রবীন্দ্রনাথ এই সংস্কারকার্যে ব্রতী হয়েছিলেন। উক্ত পত্রিকার শ্রাবণ ১৩৩৪ থেকে আষাঢ় ১৩৩৫ পর্যন্ত ১২টি সংখ্যায় ৫৯টি পত্র মুদ্রিত হয়ে ‘পত্রধারা’ পর্যায়ের দ্বিতীয় গ্রন্থ হিসেবে চৈত্র ১৩৩৬ (মার্চ-এপ্রিল ১৯৩০)-এ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ভূমিকায় লেখেন: “পত্রধারার দ্বিতীয় পর্যায়ের চিঠিগুলি লেখা হয়েছিল একটি বালিকাকে। সে চিঠির বেশির ভাগ লেখা শাস্তিনিকেতন থেকে। তাই সেগুলির মধ্যে দিয়ে স্বতই বয়ে চলেছে শান্তিনিকেতনের জীবন-যাত্রার চলচ্ছবি। এগুলিতে মোটা সংবাদ বেশি কিছু নেই, হাসি-তামাশায় মিশিয়ে আছে সেখানকার আবহাওয়া, জড়িয়ে আছে সাংসারিক ব্যাপারে আনাড়ি স্নেহ। বিশেষ কিছু বলতে হবে না মনে করে হালকা মনে আটপৌরে রীতিতে যা বলা যেতে পারে তাকে কোনো শান-বাঁধানো পাকা সাহিত্যিক রাস্তায় প্রকাশ করবার উপায় নেই।’ বইটি যখন প্রকাশিত হয়, রবীন্দ্রনাথ তখন যুরোপে; ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন শহরে থাকার সময়ে বইটি হাতে পেয়ে ৮ অগাস্ট ○○br