পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৩০ তিনি রানী মহলানবিশকে লেখেন: ইতিমধ্যে ভানুসিংহের পত্রাবলী নতুন ছাপা হয়ে পড়ল আমার হাতে এসে। শাস্তিনিকেতনের বর্ষার মেঘ ও শরতের রৌদ্রে পরিপূর্ণ সেই চিঠিগুলি। দূরদেশে এসে সেই চিঠিগুলি পড়ছি বলে সেগুলো এত পরিস্ফুট হয়ে উঠল। ক্ষণকালের জন্যে ভুলে গেলুম— কোথায় আছি। আবার বার্লিন থেকে ৫ সেপ্টেম্বর রাণুর বোন ভক্তিকে লিখেছেন: “ভানুসিংহের পত্রাবলী সেদিন আমার হাতে এসে পৌচেছে। পড়তে পড়তে শান্তিনিকেতন আমার চারদিকে মূৰ্ত্তিমান হয়ে উঠল। ভুলে গেলুম যে আছি পশ্চিম সমুদ্রের পারে। আমার কোনো লেখাতেই শাস্তিনিকেতনের রূপ এমন রসপূর্ণ হয়ে জাগেনি। নিজের বলতেই হচ্চে এই চিঠিগুলির পরিধি দুই ডাকঘরের দুই কিনারার মধ্যেই পরিসমাপ্ত নয়— আর, কালের যে সীমানা আমার আকস্মিক সাতাশ বছর বয়সের মধ্যেই কিছু দিনের জন্যে আবদ্ধ ছিল পত্রাবলী তাকে অনেকদূর ছাড়িয়ে গেছে। রাণুকে যে চিঠিগুলি লিখেছিলুম বঙ্গবাণীর নিত্য ঠিকানায় সেগুলি পোঁচেছে।’ এই খণ্ডে রাণুকে লেখা ‘ভানুসিংহের পত্রাবলীর ৫৯টি চিঠির পূর্ণাঙ্গ পাঠের সঙ্গে প্রাপ্ত আরও ১৪৯টি চিঠি প্রকাশিত হল। অপ্রকাশিত চিঠির কয়েকটি বিশ্বভারতী পত্রিকার নব পর্যায়ের তিনটি সংখ্যায় মুদ্রিত হয়েছিল। রাণুর লেখা কয়েকটি চিঠিও উক্ত সংখ্যাগুলিতে মুদ্রিত হয়। কিছু চিঠি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে শ্ৰীসমর ভৌমিকের লেখা “রাণু মুখোপাধ্যায়ের জীবনালেখ্য' গ্রন্থে। ফণিভূষণ ও ভক্তি অধিকারীকে লেখা যথাক্রমে তিনটি ও একটি চিঠি বিশ্বভারতী পত্রিকার মাঘ-চৈত্র ১৩৫৯-সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল। মূল পত্র বা ফোটোকপির অভাবে এই চিঠিগুলির ক্ষেত্রে পত্রিকার পাঠই অনুসরণ করা হয়েছে। বাকি চিঠিগুলি কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এ রক্ষিত মূল পত্র বা ফোটোকপির সঙ্গে (t\రిసి