পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেলানো হয়েছে। বানান ও ছেদচিহ্নের ক্ষেত্রে কোনো সংশোধন না করে অবিকল মূল পাঠ অনুসৃত হয়েছে, কেবল বিশেষ কয়েকটি বানানের ক্রটি "{য]’ চিহ্ন-যোগে নির্দেশ করা হল। বর্তমান খণ্ডের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রবীন্দ্রনাথকে লেখা রাণুর চিঠিগুলি। তার সমত্ত চিঠি রক্ষিত হয় নি, কিন্তু যেগুলি আছে নানা কারণে তাদের মূল্য অপরিসীম। রাণুর প্রথম দিকের কোনো চিঠিতেই তারিখ বা স্থানের স্বতন্ত্র উল্লেখ নেই। প্রথমে পত্রগুলিকে তিনটি স্থূল ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে— রাণুর প্রাথমিক চিঠিগুলিতে সম্বোধন ছিল প্রিয় রবিবাবু, তার পরে সেটি পরিবর্তিত হয় ‘প্রিয় রবিদাদায় এবং সবশেষে ‘প্রিয় ভানুদাদা’ বা ‘ভানুদাদা’ সম্বোধনে। এইরূপ তিনটি গুচ্ছে চিঠিগুলিকে ভাগ করে পত্রগুলির বিষয়বস্তু এবং রবীন্দ্রনাথের চিঠির তারিখ ও বিষয়ের সূত্র অবলম্বন করে সেগুলির কালানুক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ-ব্যাপারে নির্ভুলতার দাবি করতে পারি না। আলাদা করে রবীন্দ্রনাথ ও রাণুর চিঠি পড়ার আনন্দ তো আছেই, কিন্তু উভয়ের পত্র মিলিয়ে পড়লে একটি অতিরিক্ত রসের আস্বাদ পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ৭ অক্টোবর ১৮৯৪ তারিখে লেখকের সব চেয়ে ভালো লেখা তার চিঠিতেই দেখা দেয় তা হলে বুঝতে হবে যে, যাকে চিঠি লেখা হচ্ছে তারও একটি চিঠি লেখবার ক্ষমতা আছে। ইন্দিরা দেবীর সেই সময়ে লেখা চিঠিগুলি পাওয়া যায় নি, সুতরাং তার চিঠি লেখবার ক্ষমতার প্রমাণ যাচাই করবার সুযোগ নেই—কিন্তু রাণুর লেখা চিঠিগুলি পড়লে পাঠকের নিশ্চয় বুঝতে অসুবিধা হবে না, কী গুণে তিনি রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে বর্তমান সংকলনের অন্তর্গত অপূর্ব চিঠিগুলি লিখিয়ে নিতে পেরেছিলেন। রাণু মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথকে লেখা তার এই চিঠিগুলি প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন, তার জন্য তার উদ্দেশে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জানাই। (280