পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েচে, “ঘরে বাইরে" প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন যেটুকু বাকি আছে তাতে বেশি কিছু লেখবার নেই— কাজেই এখন বুধবারে আমি পুরো ছুটি পাব। কিন্তু এণ্ডুজের হাত থেকে ছুটি পেলেই কি আমার ছুটি আছে? বুধবারে আমার ক্লাস পড়ানো নেই বটে কিন্তু ক্লাসের পড়া তৈরি করা আছে, সুতরাং আমাকে আমার খাতাপত্র খুলে বসতেই হবে। এক বৎসরের মত লেখা হয়ে গেলে তবে আমি ছুটি পাব। সে হতে অনেক দেরি— তত দিনে আমার বয়স অন্তত আটাশ হবেই— যদি না কোনোমতে, আমার সাতাশটাকে দম-না-দেওয়া ঘড়ির মত, একেবারে থামিয়ে রেখে দিতে পারি এখন বৃষ্টি থেমে গেছে, কিন্তু জলভারাবনত মেঘে আকাশ ভরে রয়েচে। এতদিন শ্রাবণের দেখা ছিল না, যেই বিশে একুশে হয়েচে অমনি যেন কোনমতে ছুটতে ছুটতে শেষ ট্রেণটা ধরে হঠাৎ হাঁপাতে হাপাতে এসে হাজির। কম হাপাচ্চে না,— আর হাপানির বেগে আমাদের শালবন বিচলিত, আমলকিবন কম্পান্বিত, তালবন মৰ্ম্মরিত, বাঁধের জল কল্লোলিত, কচি ধানের ক্ষেত হিল্লোলিত, আর আমার জানলার খড়খড়িগুলো ক্ষণে ক্ষণে খড়খড়ায়িত। ইতি ২১ শ্রাবণ ১৩২৫ তোমার রবিদাদা S. Ο [অগাস্ট ১৯১৮] শাস্তিনিকেতন রাণু, তোমার চিঠি আজ এইমাত্র পেলুম। এই মাত্র বলতে কি বোঝায় বলি। দুপুর বেলাকার খাওয়া হয়ে গেছে। সেই কোণটাতে তাকিয়া ঠেসান (?○