পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশের বাইরে থাকা আদেী সমীচীন নয়।’ (‘দেশ’, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪০৪) এই কারণেই রবীন্দ্রনাথের নেপাল-যাত্রা পরিত্যক্ত হয়। ৩ ১০ মার্চ ১৯২২ তারিখে গান্ধীজির গ্রেপ্তারের সংবাদে বসন্তোৎসবের বিপুল আয়োজন পরিত্যক্ত হলেও ২৯ ফাল্গুন সোমবার ১৩ মার্চ দোলপূর্ণিমার রাত্রে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হয়। পিঠাপুরমের রাজার বীণকার সঙ্গমেশ্বর শাস্ত্রী (১৮৭৪-১৯৩১) তখন আশ্রমে ছিলেন, তিনি বীণা বাজিয়ে শোনান। রবীন্দ্রনাথ এই উপলক্ষে রাতে রাতে আলোর শিখা’, ‘এনেছ ওই শিরীষ বকুল আমের মুকুল’, ‘ও মঞ্জরী, ও মঞ্জরী, আমের মঞ্জরী’, ‘তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায়’, ‘ফাগুনের শুরু হতেই শুকনো পাতা’ প্রভৃতি নূতন গান রচনা করেন, নিশ্চয়ই গানগুলি এই উৎসবে গীত হয়েছিল। পত্র ১৬। দ্র, ভানুসিংহের পত্রাবলী, পত্র ৪৬। ১ ২৩ মার্চ ১৯২২ (১ চৈত্র) রাত্রে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে রওনা হন। ২ এই বাক্যটি পত্রিকায় ও গ্রন্থে বর্জিত হয় । ৩ ৬ এপ্রিল (২৩ চৈত্র) সন্ধ্যার গাড়িতে কলকাতা রওনা হয়ে রবীন্দ্রনাথ ২৭ চৈত্র শাস্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। পত্র ৯৮ ৷ দ্র, ভানুসিংহের পত্রাবলী, পত্র ৪৭। ১ ২৭ এপ্রিল ১৯২২ (১৪ বৈশাখ ১৩২৯) থেকে ২৬ জুন (১২ আষাঢ়) পর্যন্ত বিশ্বভারতী গ্রীষ্মাবকাশের জন্য বন্ধ থাকে, ২৮ জুন ক্লাশ আরম্ভ হয়। এই সময়ে রাণু বেশ কিছুদিন শাস্তিনিকেতনে অবস্থান করে ২৭ জুন কাশীতে ফিরে যান। আষাঢ়-সংখ্যা শাস্তিনিকেতন-এ লেখা হয়েছে: কাশীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত ফণীভূষণ অধিকারী মহাশয় সপরিবারে সমত্ত ছুটিই এখানে কাটাইয়াছেন। ২ এই বিষয়ে শ্রাবণ-সংখ্যা শান্তিনিকেতন'-এ লেখা হয় : ছাত্রীনিবাসের কাছেই হাসপাতালের সম্মুখের অপরিষ্কার বাগানটি ছাত্রীরা নিজেদের হাতে বড় বড় গাছ জঙ্গল কাটিয়া পরিষ্কার করিয়াছেন— এখন সেই জমিতে তাহারা প্রত্যহ গৰ্ত্ত করিয়া তাহার মধ্যে আবর্জনা পুতিয়া জমি যাহাতে উৰ্ব্বর হয় তাহার জন্য উৎসাহের সহিত কাজ আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন— আশা করা যায় তাহাদের বাগান শীঘ্রই ফলে ফুলে শাক সবজীতে ভরিয়া উঠিবে।" &\o