পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ ২১ জুলাই (৫ শ্রাবণ) রবীন্দ্রনাথ রামমোহন লাইব্রেরি হলে বিশ্বভারতী সম্মিলনীর প্রথম অধিবেশনে তার নূতন নাটক মুক্তধারা’ পাঠ ও ব্যাখ্যা করেন। এই বিষয়ে ২৪ জুলাই আনন্দবাজার পত্রিকা-য় লিখিত হয়: প্রথমে তিনি নাটকের প্রকৃত অর্থ বুঝাইয়া দিয়া বলেন, এই নাটকখানাকে রূপক রূপে গ্রহণ না করিলে চলে। যে আন্দোলন হোতে দেশ আজ ওতপ্রোত, তাহাকে রূপকের মধ্য দিয়া ফুটাইয়া তোলা নাটকখানির উদ্দেশ্য নহে। অবশ্য অত বড় একটা পারিপাশ্বিক ঘটনার ছাপ উহাতে না থাকিয়াও পারে না। পথকে মুক্ত করা, মানবের মিলনের পথকে উন্মুক্ত করিয়া দেওয়াই যে সমস্ত সভ্যতার শেষ কথা, উহাই নাটকে বিশেষ ভাবে দেখানো হইয়াছে।’ (শ্রীচিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-সম্পাদিত রবীন্দ্র-প্রসঙ্গ আনন্দবাজার পত্রিকা’ ১ম, ১৯৯৩, পৃ. ১৫২) ৬ আষাঢ় ১৩২৯-সংখ্যা শাস্তিনিকেতন'-এ লেখা হয়েছিল : ‘এখানে আজকাল প্রায় বৃষ্টি হইতেছে। এবার কালবৈশাখীর ঝড়ে আশ্রমের পাকশালার টিনের ছাদ অনেকটা উড়িয়া গিয়াছিল, এবার পাকা ছদ হইতেছে। ঘটনাটি নিশ্চয় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে ঘটেছিল, অথচ রবীন্দ্রনাথ এমনভাবে লিখেছেন, যাতে এটিকে সমসাময়িক ঘটনা বলে মনে হয়।

  • で晒 >のミ日

১ দ্র, পত্র ৯৯, টীকা ১। ম্যাডান থিয়েটারে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আনন্দবাজার পত্রিকা’ (১৯ অগাস্ট) লেখে : ‘এই উৎসবে বর্ষার প্ৰবৰ্ত্তন, স্থিতি ও বিদায় সম্বন্ধে রচিত অনেকগুলি সঙ্গীত গীত হয়। .তিনজন সঙ্গীতজ্ঞ এসরাজ ও একজন মৃদঙ্গ বাদন করেন। ষ্টেজখানাও অতি সুন্দরভাবে সজ্জিত করা হইয়াছিল। মোটের উপর ১৬টি সঙ্গীত গীত হয় । ইহার মধ্যে অনেকগুলিতে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং যোগদান করিয়াছিলেন। কবি তাহার স্বরচিত তিনটি কবিতাও আবৃত্তি করিয়াছিলেন।” (পূর্বোক্ত গ্রন্থ, পৃ. ১৫৫) কবিতা তিনটি হল ঝুলন’, ‘বর্ষামঙ্গল’ ও ‘অবিনয়’। (২১ অগাস্ট) লেখা হয় ; গতবারে স্থানাভাবে অনেক লোককে হতাশ হইয়া ফিরিতে হইয়াছিল। এবার তাহাদেরই সুবিধার জন্য এই অনুষ্ঠান। কিন্তু ¢ዓለ>