পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু ইতিমধ্যে আমার ওষুধ খেয়ে এতটা ভাল হয়ে উঠলেন, যে ভোরের বেলায় আবার টেলিগ্রাফ করে ডাক্তার আসা বন্ধ করে দিলুম। তুমি ত জানই আমার হাতের রেখায় লেখা আছে আমি ডাক্তারি করতে পারি। যাই হোক এখন সাহেব আবার সেরে উঠে পূৰ্ব্বের মতই চারিদিকে দৌড়ে দৌড়ে বেড়াচ্চেন। কিন্তু তিনি সেই যে জাপানি ঝোলা কাপড়টা পরতেন সেটা আজকাল আর দেখতে পাইনে। বৃষ্টি একটুখানি হয়েই থেমে গেল। বাতাসটাও বন্ধ হয়েচে। কিন্তু পূবের দিকে খুব একটা ঘননীল মেঘ ভ্ৰকুটি করে থমকে দাঁড়িয়ে রয়েচে– এখনি বোধহয় বকশ বাণ বর্ষণ করতে লেগে যাবে। আমরা আশ্রমে চারিদিকে অনেক নতুন গাছ লাগিয়েচি ভাল করে বৃষ্টি হলে ভালই হয়। কিন্তু আজকাল শরৎকালের মত হয়েচে— রৌদ্রে বৃষ্টিতে মিলে ক্ষণে ক্ষণে খেলা সুরু হয়ে গেছে। তোমরা গান বাজনা শিখতে সুরু করেচ শুনে খুব খুসি হলুম। আজ আমার আর সময়ও নেই; কাগজও ফুরোলো, পাড়া জুড়োলো, বর্গি এলে ক্লাসে। [শ্রাবণ ১৩২৫] তোমার রবিদাদা ২১ . ৯ অগাস্ট ১৯১৮ [ শান্তিনিকেতন] রাণু, তোমার চিঠিখানা কাল পাওয়া উচিত ছিল— কিন্তু ডাকঘরের বিভ্রাটে আজ সকালে পেলুম। পশ্চিম থেকে যে সব চিঠি আসে সে আমরা দুপুর Q ૨