পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(বিশ্বভারতী পত্রিকা, শ্রাবণ-আশ্বিন ১৩৭৬) ১ আষাঢ় ১৩৩২.প্রশান্তচন্দ্রকেও লিখেছেন : রাণুর বিবাহে বাংলা বই রাণুকে ও ইংরেজি বই বীরেনকে দেওয়া ভাল। বাংলা বাসস্তী রঙ ও ইংরেজি purple (রাজকীয়) রঙে হলে কেমন হয়? ইংরেজি যদি না বাঁধাতে চাও তাহলে বিলিতি ম্যাকমিলানের Edition দিলেই হবে। দুটো আলাদা সেট করে দুজনকে দিতে ইচ্ছে করি। গানের স্বরলিপিগুলোও উপহারের মধ্যে ধরে দিয়ো— কেননা যদি কোনোটার কিছুমাত্র ব্যবহার হয় ঐটেরই হবে।’ (‘দেশ', ১৩ আষাঢ় ১৩৮২, পত্র ৪৯) ভ্রাতুষ্পপুত্ৰী ইন্দিরা দেবী তার ‘রোজনামচা বা দৈনিক লিপিতে ("স্মৃতিসম্পূট, ২য় খণ্ড, ১৯৯৯, পৃ. ২৩) লিখেছেন : রবিকা তার সব গ্রন্থাবলী একই ধরণে বেশ সুন্দর পিয়ে সব বইয়ের ভিতরে স্বহস্তে আশীৰ্ব্বাদ লিখে একটা কাচের আলমারিসহ রাণুকে উপহার দিয়েছেন। করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু যখন বালিগঞ্জে বিরাট বাড়ি ভাড়া করে বিবাহের ব্যবস্থা করা হয়, তখন তিনি পুত্রকে লেখেন, বিবাহে উপস্থিত থাকা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবেন তিনি। শেষে রাণুর মনে যেন কষ্ট না হয় সেই ভেবে ২৫ জুন কলকাতায় এসে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ইন্দিরা দেবীর বালিগঞ্জের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু সেখানে টিকতে পারেন নি, ২৭ জুন জোড়াসাঁকোর বাড়িতে চলে যান। ইন্দিরা দেবী অভিমান করে তার রোজনামচায় লিখেছেন: কায়ক্লেশে বৃহস্পতি শুক্র দুদিন থেকে শনিবার সকালে একটু বেলা হতেই বাড়ি যাবার জন্যে এত অস্থির কেন-যে হয়ে পড়লেন তা এখন পর্যন্ত ঠিক বুঝে উঠতে পারি নি। সুরেনদের ওখানে সেদিন সকালে গিয়ে বলেছেন শুনলুম যে, মন বসছে না, একটা চিঠি পর্যন্ত লিখতে পারছেন না, ইত্যাদি। আমাদের বললেন যে, রখীদের উপর চিঠিপত্র লেখা প্রভৃতি যে-সব ভার দিয়েছেন তা সম্ভবত হচ্ছে না, ফোনে ঠিক বোঝানো যায় না, ইত্যাদি। ..আসলে আমার বিশ্বাস রাণুকে যা দেবেন তার কী হল জানবার জন্যে ব্যস্ত এবং সেদিন আবার এক সাইক্লোন হবার ছজুক উঠেছিল তার জন্যে ভীত হয়ে এই কাগুটি করলেন। পরে শুনলুম, সেই ভয়ে তাড়াতাড়ি রাত দশটার সময় গাড়ি করে রাণুর যৌতুক পাঠিয়েছিলেন।’ (‘স্মৃতিসম্পূট', ৬০২