পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ ১২ অগাস্ট ১৯১৮ শাস্তিনিকেতন রাণু, কাল এখানে খুব ধুমধাম ছিল। কেন বল দেখি। ক্ষিতিমোহনবাবুর’ বড় মেয়ে রেণুকার কাল বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের সভা হয়েছিল সন্তোষবাবুদের বাড়িতে। ছেলেরা কাল খুব করে ওঁদের বাড়ি সাজিয়ে দিয়েছিল। ফুলপাতার ত কথাই ছিল না— তার উপরে ঘরে বারান্দায় নানা রঙের চীনে লণ্ঠন ঝুলিয়ে দিয়েছিল— এইগুলো সব জাপান থেকে এসেছিল। বৌমা কদিন থেকে পিড়িতে আলপনা দিচ্ছিলেন— বেশ দুটো হাস একে দিয়েচেন। মেয়েরা সকাল থেকে হুলু দিতে শাঁখ বাজাতে অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু আজকালকার মেয়েদের মুখে হলুও বেরয় না শাখও বাজে না। যে রকম কাণ্ড দেখচি তাতে বোধ হচ্চে যুদ্ধটা শেষ হয়ে গেলে পর জাপান থেকে হুলু দেবার কল তৈরি করিয়ে আনাতে হবে। তুমি হুলু দিতে পার ? এই বেলা সময় থাকতে Miss Edgar এর কাছে শিখে নিয়ো। বিয়ের আগে রেণুকাকে বোধহয় বৌমা সাজিয়ে দিয়েছিলেন— লাল বেনারসীর শাড়ি পরিয়ে বেশ ভাল করে সাজিয়েছিলেন– সন্ধ্যাবেলায় আমাকে যখন প্রণাম করতে এল আমি ত হঠাৎ চিনতেই পারিনি। রাত্রে মোটর গাড়িতে চড়িয়ে বরকে শান্তিনিকেতন থেকে সন্তোষবাবুর বাড়ি নিয়ে গেল। তার আগে খুব বৃষ্টি হয়ে রাস্তায় জল দাড়িয়ে গিয়েছিল— ভয় হয়েছিল পাছে মোটরের চাকা কাদায় বসে যায়। আমি বিবাহ সভায় যাইনি— কেননা রাত্রি সাড়ে দশটায় বিয়ে আরম্ভ— আর শুনলুম তিনটে রাতে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছিল। শুনে আমি বল্লুম— প্রজাপতয়ে নমঃ— এবং খুব দূরের থেকে। আজ বর রেণুকে © ☾