পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরযূবালা অধিকারীকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র ‘श्रय S । ১ এম্পায়ার থিয়েটারে বিসর্জন অভিনীত হয় ২৫, ২৭ ২৮ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর ১৯২৩ তারিখগুলিতে। প্রথম দিন অসুস্থতার জন্য রাণু অপর্ণর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন নি; মঞ্জুশ্রী ঠাকুর অভিনয় করেন— পরবর্তী তিনটি অভিনয়ে রাণু উক্ত ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২ রবীন্দ্রনাথ ১৬ ভাদ্র ১৩৩০ (২ সেপ্টেম্বর) কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে চলে আসেন।

  • उि २ ।।

১ উক্ত অভিনয় উপলক্ষে রাণু যখন অনেকদিন জোড়াসাঁকোয় ছিলেন, তখন তার সৌন্দর্যে ও খোলামেলা ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়ে অনেক যুবক তার প্রণয়প্রার্থী হন। রাণুও তাদের কাউকে-কাউকে কিঞ্চিৎ প্রশ্রয় দেন। সকলের কথা জানা নেই, কিন্তু পাথুরিয়াঘাটা ঠাকুরপরিবারের প্রফুল্লনাথ ঠাকুরের পুত্র পূর্ণেন্দুনাথ (ডাক নাম বুড়ো) ও রাণুর মধ্যে বেশ-কিছু চিঠিপত্র আদানপ্রদান হতে থাকে। কেউ-কেউ কাশীতে বা শাস্তিনিকেতনে গিয়ে রাণুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবারও চেষ্টা করতে থাকেন। রবীন্দ্রনাথ প্রথম দিকে এইসব প্রণয়প্রার্থীদের কৌতুকের দৃষ্টিতেই দেখছিলেন, কিছুটা তাদের নিয়ে মজাও করেছেন। কিন্তু ঘটনা ক্রমেই বাড়াবাড়ির দিকে যাচ্ছে দেখে তিনি তার প্রযত্নে রাণুকে পাঠানো ও পূর্ণেন্দুকে পাঠানো রাণুর লেখা কয়েকটি চিঠি খুলে পড়েন এবং প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবিশের আলিপুরের বাসায় থাকার সময়ে পূর্ণেন্দুকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভৎসনা করেন। পূর্ণেদুনাথ রাণুকে বিয়ে করতে চাইলে রবীন্দ্রনাথ আপত্তি করেন, কারণ সগোত্রে বিবাহ তার পিতা প্রফুল্লনাথ কিছুতেই মেনে নেবেন না। পূর্ণেদুনাথের সঙ্গে তার কোনো শুরুজন-স্থানীয় আত্মীয়ও ছিলেন, তিনি ভরসা দেন প্রফুল্পনাথকে রাজি করানো কঠিন হবে না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ সেই আশ্বাস মেনে নিতে পারেন নি। রবীন্দ্রনাথকে লেখা পূর্ণেন্দুর চারখানি ইংরেজি চিঠি রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত আছে, যাতে তিনি রবীন্দ্রনাথের অমর্যাদাকর উক্তিসমূহেল তীব্র প্রতিবাদ করে চিঠিগুলি や〉°