পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফেরৎ চেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ কোনো চিঠিরই উত্তর দেন নি, রবীন্দ্রনাথের একটি চিঠির খসড়া থেকে জানা যায়, অসুস্থ পিতাকে বিব্রত না করার জন্য তিনি চিঠিগুলি তাকে দেখান নি। অতঃপর তিনি পূর্ণেন্দুর লেখা চিঠিগুলির প্রতিলিপি তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দিলে তিনি রথীন্দ্রনাথকে লেখেন, ‘তোমার পত্র ও তৎসহ প্রেরিত বুড়োর তিনখানি পত্র পাইয়াছি। বুড়োর পত্র কয়খানি পড়িয়া আমি বাস্তবিকই দুঃখিত হইয়াছি এবং বুড়োকে বিশেষ ভৎসনা করিয়াছি।’ এই চিঠিগুলি সবই ১৯২৫ সালের এপ্রিল মাসে লেখা, তখন রাণুর বিবাহ স্থির হয়ে যাওয়ার মুখে। সম্ভবত এই সময়েই রথীন্দ্রনাথকে সরযুবালা লেখেন: ‘শুরুদেব রাণুর নামে যে চিঠিখানা তার কেয়ারে এসেছিল আমায় পাঠিয়েছেন সেটা পড়ে কয়েকটা কথা আপনাকে জানানো আবশ্যক বলে মনে করলুম। তারা রাণুকে অনেক রকম ভয় দেখিয়ে শেষে লিখেছে বিরেনের {য] সঙ্গে যাতে তার বিবাহ না হয় সে জন্য তারা এমন অনেক ভীষণ ২ চিঠি আবার লিখছে বিরেন ও রাজেন্দ্রবাবুকে যা থেকে তার ভানুদাদা তাকে কিছুতে বাঁচাতে পারবেন না। বসুমতীর সম্পাদক হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষকে তারা গুরুদেবের সমন্ধে [য] এমন এক চিঠি দিয়ে এসেছে যা পেয়ে সে খুব খুসী হয়েছে এবং সময়ে সেটা কাজে লাগাবে বলেছে। ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ চিঠি বুড়ো এবং কিরণ বাবু [এর পরিচয় উদ্ধার করা যায় নি] মিলে লিখেছে এবং আগাগোড়া সমস্ত চিঠিই এদের লেখা। আমার বোধ হয় প্রসাদ দাস বাবুকে [এর পরিচয়ও উদ্ধার করা যায় নি} এ বিষয় জানান উচিত যাতে উনি এর কোন বিহিত করতে পারেন। কিরণ ও বুড়োকে শাসন করা তার নিতান্ত কৰ্ত্তব্য। ‘গুরুদেব এই অসুস্থ শরীরে আমাদের জন্য এত কষ্ট পাচ্ছেন এই দুঃখই আমাদের সব চেয়ে বড় দুঃখ। তার স্বাস্থ্যের জন্য যদি শীঘ যুরোপ যাওয়া আপনি উচিত জ্ঞান করেন ত সেই ব্যবস্থাই করবেন আমাদের জন্য ভাববেন না তার মঙ্গলেই আমাদের মঙ্গল। তার জীবনের চেয়ে আমাদের কাছে আর কিছু বেশী নয় L." ২ সুহৃদচন্দ্র সিংহ। ●>bア