পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখের কথা কি বলব— এতবড় একটা বিয়ে হয়ে গেল কিন্তু রসনচৌকি বাজল না— কেবল রাত তিনটা পৰ্যন্ত মন্ত্র পড়াই হল। সিড়িতে পায়ের শব্দ শুনচি বোধ হয় ডাকতে আসচে— কিন্তু বড় ঘুম পাচ্চে। ইতি ২৭ শ্রাবণ ১৩২৫ তোমার রবিদাদা ২৩ שצאצ 5}קולאס 8 9 ? শান্তিনিকেতন রাণু আজ বুধবার। আজ হয়ত দুপুরের ডাকে তোমার চিঠি পেতেও পারি— নাও পেতে পারি। হাতে একটু সময় আছে তাই তোমার না-পাওয়া চিঠির জবাব লিখতে বসে গেলুম। ক দিন খুব বৃষ্টি বাদলের পর আজ সকালের আকাশে সূর্যের আলো নিৰ্ম্মল হয়ে ফুটে উঠেছে— শিশু যেমন দোলায় শুয়ে শুয়ে অকারণ আনন্দে হাত পা ছুড়ে', চিৎ হয়ে শুয়ে’, কলহাস্য করতে থাকে, তেমনি করে আশ্রমের গাছপালাগুলি আজ তাদের ডালপালা দুলিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে কেবলি ঝিলমিল করে উঠচে। এখন সকাল বেলা— স্নিগ্ধ বাতাস বইচে, পার্থীর ডাকে এখানকার শালবন এবং আমবাগান মুখরিত। আমাদের মন্দিরের উপাসনা হয়ে গেছে। তারপরে এতক্ষণ আমার জানলার ধারের সেই কোণটিতে শুয়ে ছিলুম। প্রতি বুধবারে উপাসনার পরে এভুজ একবার এসে, আমি কি বলেছি, আমার কাছে ইংরেজিতে তাই বুঝিয়ে নেন। বুঝিয়ে নিয়ে খুশী হয়ে তিনি চলে গেছেন। ¢ ማለ