পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের জীবনযন্ত্রের ওস্তাদজিকেই দেখতে পাই। তখন দুঃখ আমাদের অভিভূত করে না, ক্ষতি আমাদের দরিদ্র করে দেয় না। তখন ওস্তাদজির আনন্দের মধ্যে আমাদের জীবনের শেষ অর্থটি দেখতে পাই। সেইটি দেখতে পাওয়াই মুক্তি। সেই জন্যই ত চিত্তবীণায় সত্যসুরে তার বাঁধতে চাই— সেই জন্যে কঠিন চেষ্টায় মনকে বশ করতে চাই, চৈতন্যকে নিৰ্ম্মল করে তুলতে চাই— সেই জন্যে নিজের স্বার্থ নিজের ক্ষুদ্র আকাঙ্ক্ষা ভুলে হৃদয়কে স্তব্ধ করতে চাই— তা হলেই আমার সুর বাঁধা যন্ত্র ওস্তাদের হাতে বেজে উঠবে। আমাদের প্রার্থনা হচ্চে এই— “তব অমল পরশরস অস্তরে দাও।” তার সেই স্পশের রসই হচ্চে আমাদের অন্তরের সঙ্গীত। তুমি ত জান আমি সন্ধ্যাবেলায় প্রায়ই গান করি— বীণা বাজাও হে মম অন্তরে সজনে বিজনে, বন্ধু, সুখে, দুখে, বিপদে, আনন্দিত তান শুনাও হে মম অস্তরে। দুপুর বেলা খেতে গিয়ে দেখি খাবার টেবিলে তোমার চিঠি আর সেই হিন্দী খবরের কাগজ রয়েচে । তোমরা আলমোড়ায় যাচ্চ ?° ওখানে আমি অনেকদিন ছিলুম।" তোমাদের ঠিকানা পেলে সেই ঠিকানায় লিখব। না। কিন্তু দেখচি আমার ছেলেবেলাকার হাওয়া তোমাদের লেগেচে— তখন আমি কেবলি ইস্কুল পালিয়েচি। কিন্তু সাবধান, আমার মত মূখ হলে চলবে না— নামতা মনে থাকা চাই, আর সাইবীরিয়ার রাত্তা ভুললে কষ্ট পাবে— আমার এমন দুৰ্দ্দশা হয়েচে যে আমি, হাজার চেষ্টা করলেও কখনই একলা শাস্তিনিকেতন থেকে Irkutok এ’ ঠিক পথ চিনে যেতে পারিনে। অতএব ছুটি ফুরোবার আগেই ইস্কুল ছেড়ে কোথাও যেতে হলে আমার শোচনীয় দৃষ্টান্ত মনে রেখো। আলমোড়ায় যদি যাও ওখানে বলিসা" বলে আমাদের জানা লোক আছে, তাদের সঙ্গে হয় ত আলাপ হবে— (१ै>