পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পড়ানো ছিল। আজকাল তৃতীয় বর্গে আমার ক্লাসের বাইরের বিস্তর ছাত্র কালীমোহন", সন্তোষ, নেপালবাবু', এণ্ডুজ সাহেব ইত্যাদি। আজকাল ঐ বর্গের পাঠ বেশ একটু শক্ত হয়ে উঠেছে— অনেকটা কলেজ ক্লাসের মত। প্রতিদিনই অনেক বড় বড় ভাব এবং তত্ত্ব নিয়ে আমাকে আলোচনা কৰ্ত্তে হয়— আজ কাল শুধু কেবল ইংরেজি sentence তৈরি করা নিয়ে ওদের exercise করাই নে। তোমরা যখন ছিলে তার চেয়ে এখন ছেলেদের অনেক বেশি উন্নতি হয়েচে— ওরা ভারি ভারি ইংরেজি বাক্য তৈরি করতে এবং বুঝতে পারে, তাছাড়া অনেক বড় কথা ওরা বুঝতে পারে এবং তাতে আনন্দ পায়। সেইজন্যে ওদের পড়াতে আমার এত আনন্দ বোধ হয়। কোথায় পড়াই বল দেখি ? কিছুতেই আন্দাজ করতে পারবেন। ছেলেদের গোলমালে শাস্ত্রীমশায়ের সেখানে লেখাপড়ার অসুবিধা হত। তাই অনেকদিন আমার দোতলার শোবার ঘরে ক্লাস নিতুম। কিন্তু এত বেশি ছাত্রছাত্রীর ভিড় হতে আরম্ভ হল যে, ঘরে বাইরে কোথাও আর ধরছিল না। জগদানন্দ বাবুর' বাসার পশ্চিম দিকে প্রকাণ্ড একটা বটগাছ আছে– এই বটের ছায়াতলে গোল একটি চালা তুলেছি— লাইব্রেরি থেকে সেখানে আমার পাথরের আসন তুলে এনেছি— এখানে দরকার হলে আমার আসন ঘিরে একশো লোক বসতে পারে। এই জায়গাটি বেশ সুন্দর দেখতে হয়েছে। ছেলেদের বলেচি, তারা নিজের হাতে এখানে আসবার রাস্তা তৈরি করে দেবে— আর চারিদিকে চনকা তৈরি করে ফুলের গাছ লাগিয়ে দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে দেবে। তুমি আমার ছাত্রী থাকলে তোমাকেও এই কাজে হাত লাগাতে হত। এতদিন এখানে দিল্লির সেন্ট স্টীফেন কলেজের অধ্যক্ষ রুদ্র সাহেব ছিলেন, তিনি রোজ আমার ক্লাসে ছাত্রদের সঙ্গে বসে যেতেন— তার খুব উৎসাহ ছিল— ዓፄ