পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাল মনে থাকে না। এভুজ উপাসনার পরেই আমার কাছে এসে একবার ইংরেজিতে তার ভাবখানা শুনে নেন তাই খানিকটা মনে পড়ে। এবারে* বলেছিলুম, জগতে একটা খুব বড় শক্তি হচ্চে প্রাণ— অথচ সেই শক্তি বাইরের দিক থেকে কত ছোট কত সুকুমার, একটু আঘাতেই স্নান হয়ে যায়। এমন জিনিসটা প্রতি মুহুৰ্ত্তে বিপুল জড় বিশ্বের ভারাকর্ষণের সঙ্গে যেমন সপ্তরর্থীর বৃহে ঢুকে লড়াই করেছিল আমাদের সুকুমার প্রাণ তেমনি অসংখ্য মৃত্যুর সৈন্যদলের মধ্যে দিয়ে অহৰ্নিশি লড়াই করে চলেচে। বস্তুব দিক থেকে দেখলে দেখা যায় এই প্রাণের উপকরণ অতি তুচ্ছ, খানিকটা জল, খানিকটা কয়লা, খানিকটা ছাই, খানিকটা ঐ রকম সামান্য কিছু, অথচ প্রাণ আপনার এই বস্তুর পরিমাণকে বহু পরিমাণে অতিক্রম করে আছে। মৃতদেহে সজীব দেহে বস্তু পিণ্ডের পরিমাণের তফাৎ নেই অথচ উভয়ের মধ্যকার তফাৎ অপরিসীম। শুধু এই নয়, সজীবের বর্তমান আবরণের মধ্যে তার প্রকাগু ভবিষ্যৎ কি করে যে প্রচ্ছন্ন থাকে তাও ভেবে পাওয়া যায় না। ছোট বীজের মধ্যে মহারণ্য লুকিয়ে আছে। ছোটর মধ্যে এই যে বড়র প্রকাশ এই হচ্চে আশ্চৰ্য্য। আরেক শক্তি হচ্চে, মনের শক্তি। এই মনটি পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয় এবং পাঁচটি কৰ্ম্মেন্দ্রিয় নিয়ে এই অসীম জগতের রহস্য আবিষ্কার করতে বেরিয়েচে । সেই ইন্দ্রিয়গুলি নিতান্ত দুৰ্ব্বল— চোখ কতটুকুই দেখে, কান কতটুকুই শোনে, স্পর্শ কতটুকুই বোধ করে। কিন্তু মন এই আপন ক্ষুদ্রতাকে কেবলি ছাড়িয়ে যাচ্চে— অর্থাৎ সে যা সে তার চেয়ে অনেক বড়। তার উপকরণ সামান্য হলেও সে অতিক্ষুদ্র এবং অতিবৃহৎ অতিনিকট এবং অতিদূরকে কেবলি অধিকার করচে। তা ছাড়া, তার মধ্যে যে ভবিষ্যৎ প্রচ্ছন্ন সেও অপরিমেয়। একটি ছোট শিশুর মনের মধ্যেই নিউটনের শেকস্পীয়রের মন লুকিয়ে ছিল। ববর্বরতার যে মন পাচের বেশি গণনা করতে পারত না, তারি মধ্যে br> 為br 識や